.webp&w=3840&q=75)
বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা। ফলে ৬৫ হাজারের বেশি বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকছে। এর আগে শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি শামসুদ্দিন মাসুদ এ কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। শনিবার সকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা তাদের দীর্ঘদিনের বঞ্চনার অবসান ঘটাতে সরাসরি দশম গ্রেডের দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শিক্ষকরা পদযাত্রা শুরু করলে শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন এবং সেখানে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষক আহত হন বলে দাবি করেছেন শিক্ষক নেতারা। শিক্ষকরা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষকরা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ নামে চারটি সংগঠনের ব্যানারে সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। বিকেলে ‘কলম বিসর্জন কর্মসূচি’ পালনের জন্য তারা শাহবাগের দিকে পদযাত্রা শুরু করেন। শিক্ষকরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সামনে যেতে চাইলে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় শতাধিক শিক্ষক আহত হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন শিক্ষক নেতাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। সাউন্ড গ্রেনেডের আঘাতে শিক্ষকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থান নেন, যেখানে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক শামসুদ্দিন মাসুদ অভিযোগ করে বলেন, বিনা উসকানিতে পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় শতাধিক শিক্ষক আহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, কর্মকর্তারা আলোচনা করতে চাইলেও তারা যাবেন না। বহুবার কথা হয়েছে, কিন্তু কোনো ফল নেই। এবার রাজপথেই দাবি আদায় করে ফিরবেন। প্রজ্ঞাপন ছাড়া কোনোভাবেই ঘরে ফিরবেন না। তিনি প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার ইঙ্গিত দেন। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (শাহিন-লিপি) সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি একই সুরে বলেন, আলোচনা বহুবার হয়েছে; কিন্তু কোনো ফল নেই। এবার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথেই থাকব। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর ব্যানারে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন অংশসহ চারটি সংগঠন এ কর্মসূচি পরিচালনা করছে। তাদের তিনটি দাবি হলো—দশম গ্রেডে বেতন-ভাতা প্রদান; ১০ বছর ও ১৬ বছর চাকরি পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান-সংক্রান্ত জটিলতা ও সমস্যার স্থায়ী সমাধান এবং সহকারী শিক্ষকদের জন্য শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি প্রদান।
৯ নভেম্বর, ২০২৫
গ্রামের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ৫০০/১০০০ টাকায় ভোট বিক্রি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তার এই বক্তব্য শিক্ষার্থীদের জন্য অপমানজনক ও শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেটকে অসম্মান করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আব্দুল আলিম আরিফ। একই সঙ্গে বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। শনিবার (১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে নুরকে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তিনি। ওই পোস্টে আব্দুল আলিম আরিফ লেখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টাকা দিয়ে কেনা যায় না। এই প্রজন্ম নিজেদের ভোটাধিকার নিয়ে সচেতন। এই প্রজন্ম টাকার বিনিময়ে কিংবা চটকদার বক্তব্যের কাছে বিক্রি হয় না। যারা স্বার্থের কাছে নিজেকে বিক্রি করে তারাই এই প্রজন্মকে বিক্রি করার স্বপ্ন দেখতে পারে। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এরকম ধারণা পোষণ করে তাদের শিক্ষার্থীরা নিকট অতীতে প্রত্যাখ্যান করেছে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমন ধারণা পোষণকারীদের শিক্ষার্থীরা ইনশাআল্লাহ আগামীতেও প্রত্যাখ্যান করবে।’ তিনি আরও লেখেন, ‘আমরা আমাদের সততা, নিষ্ঠা ও কর্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করব ইনশাল্লাহ। ডাকসুর সাবেক সহসভাপতি, একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানের নিকট থেকে এমন বক্তব্য আমাদের ব্যথিত করে। এ ধরনের বক্তব্য শিক্ষার্থীদের জন্য অপমানজনক। শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেটকে অসম্মান করে। নুরুল হক নুরের এমন বক্তব্য প্রত্যাহারের করে শিক্ষার্থীদের নিকট ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’ প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘পলিটিক্স ল্যাব: পাবলিক ডায়ালগ’ শীর্ষক সংলাপে নুরুল হক নুর বলেন, ঢাকা চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর এই চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের একেবারে ভূমিধস বিজয় হয়েছে। সবাই জানে স্বতন্ত্ররা যারা জিতছে তারাও শিবিরের নেক্সাসের। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষিত তরুণরা কেন তাদের ভোট দিলো? গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা জানান, তার বিশ্লেষণে শিবিরের এই সাফল্যের পেছনে কাজ করছে তাদের ‘ওয়েলফেয়ার বেইজড পলিটিক্স’ বা কল্যাণভিত্তিক রাজনীতি। তারা ছাত্রদের নানা সুবিধা দেয়। অনেকে বলছেন, কিছু হাসপাতালে শিবির এমন চুক্তি করেছে যেখানে সদস্যদের পরিবার খুব কম খরচে চিকিৎসা নিতে পারে। সুবিধার বিনিময়ে ভোট দেওয়া প্রসঙ্গে নুর আরও বলেন, গ্রামে আমরা দেখি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকায় মানুষ ভোট দিয়ে দেয় আরেকজনকে। বাছ-বিচার করে না। সেটা জনসচেতনতার অভাব যার ফলে অযোগ্য মানুষ সংসদে চলে আসে, নেতৃত্বে চলে আসে; তাহলে উচ্চশিক্ষিত তরুণরা তো তাই করছে।
২ নভেম্বর, ২০২৫
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহে ১৩২ কোটি ৪৩ লাখ ৬৯ হাজার ২০০ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। বুধবার (২৯ অক্টোবর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অর্থ ও রাজস্ব বিভাগের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে অব্যয়িত অর্থ ২০২৬ সালের ৩১ মের মধ্যে ফেরত দিতে হবে। অধিদপ্তরের চিঠিতে জানানো হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে ইন্টারনেট, ফ্যাক্স, টেলেক্স খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে মাসিক ১০০০ টাকা হারে ইন্টারনেট বিল ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে মাসিক ৫০০ টাকা ব্যয় করতে হবে। যেসব শিক্ষক মাসিক সমন্বয় সভায় যোগদান করেন এবং অন্যান্য সরকারি কাজে বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে থাকেন, সেসব শিক্ষক সরকারি বিধি মোতাবেক ভ্রমণ ব্যয় প্রাপ্য হবেন। এতে আরও বলা হয়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে পরিচালন বাজেটের আওতায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহের জন্য সংযুক্ত বিভাজন মোতাবেক ১৩২ কোটি ৪৩ লাখ ৬৯ হাজার ২০০ টাকা সংশ্লিষ্ট ইউপিইও/টিপিইও বরাবর বরাদ্দ ও মঞ্জুরি প্রদান করা হলো। সংশ্লিষ্ট ইউপিইও/টিপিইওর আয়ন-ব্যয়ন কর্তকর্তাকে বরাদ্দকৃত অর্থ বিধি মোতাবেক ব্যয় করার ক্ষমতা দেওয়া হলো। তবে বরাদ্দ ব্যবহারে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। সেগুলো হলে বরাদ্দকৃত অর্থ সরকারি বিধি মোতাবেক ব্যয় করতে হবে। যে কোনো প্রকার অনিয়মিত ব্যয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন।
৩০ অক্টোবর, ২০২৫
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার দেশজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায় ও মসজিদগুলোর নিরাপত্তা জোরদারে অতিরিক্ত ১ কোটি পাউন্ড (প্রায় ১৪ কোটি টাকা) বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে মুসলমানদের ওপর হামলা ও মসজিদে অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে ইস্ট সাসেক্সের পিসহ্যাভেন মসজিদে সন্দেহজনক অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনায় স্টারমার বৃহস্পতিবার সেখানে যান। সফরকালে তিনি বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার অতিরিক্ত অর্থ দিচ্ছে, যাতে তারা ‘শান্তি ও নিরাপত্তার মধ্যে’ জীবনযাপন করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, ব্রিটেন একটি গর্বিত ও সহনশীল দেশ। কোনো সম্প্রদায়ের ওপর হামলা মানে পুরো জাতি ও আমাদের মূল্যবোধের ওপর আঘাত। ৪ অক্টোবরের সেই ঘটনায় মসজিদের মূল প্রবেশপথ ও একটি গাড়ি পুড়ে যায়। তবে কেউ আহত হয়নি। সাসেক্স পুলিশ এটিকে ঘৃণাজনিত অপরাধ হিসেবে তদন্ত করছে। বুধবার জীবননাশের উদ্দেশ্যে অগ্নিসন্ত্রাসের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, নতুন এ তহবিল থেকে যুক্তরাজ্যের মসজিদ ও মুসলিম ধর্মীয় কেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি, অ্যালার্ম সিস্টেম, নিরাপত্তা বেড়া ও প্রশিক্ষিত নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগে সহায়তা দেওয়া হবে। স্টারমার সফরকালে অগ্নিসন্ত্রাসে ক্ষতিগ্রস্ত এক সদস্যের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তারা জানান, ওই ব্যক্তি এখনো মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উপাসনালয়ে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী থাকা উচিত নয়, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজ আমাদের সে প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমারের সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে যুক্তরাজ্যে ইসলামবিদ্বেষমূলক অপরাধ বেড়েছে ১৯ শতাংশ। সব ধর্মীয় ঘৃণাজনিত অপরাধের ৪৪ শতাংশই মুসলমানদের লক্ষ্য করে হয়েছে। ব্রিটিশ মুসলিম ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী আকিলা আহমেদ সরকারের এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রত্যেকে যেন শান্তিতে, ভয়মুক্তভাবে জীবনযাপন করতে পারে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা। সূত্র : বিবিসি, গালফ নিউজ
২৫ অক্টোবর, ২০২৫
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের অনলাইন আবেদন সময় শেষ হচ্ছে আজ। শিক্ষার্থীরা ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ পাবেন। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, শিক্ষার্থীরা ১৭-২৩ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে হবে ওয়েবসাইট থেকে। কোনো ম্যানুয়াল আবেদন গ্রহণ করা হবে না। আবেদনের সময় শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন নম্বর দিতে হবে। পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশিত হলে ওই নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রতিটি পত্রের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা। দ্বিপত্রবিশিষ্ট বিষয়ের ক্ষেত্রে উভয়পত্রের জন্য আবেদন করতে হবে। ফি পরিশোধ করা যাবে বিকাশ, নগদ, সোনালী সেবা, উপায়, রকেট ও টেলিটক সিমের মাধ্যমে। ফল পুনর্নিরীক্ষণের নিয়ম HSC Result 2025 পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ। টেলিটক সিম ছাড়াই শুধু অনলাইন পোর্টালে গিয়ে আপনি এই কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন। প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে অনুসরণ করুন: স্টেপ-১ https://rescrutiny.eduboardresults.gov.bd-এ প্রবেশ ও তথ্য প্রদান করতে হবে। পোর্টালে লগইন : পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আপনাকে প্রথমে এই অফিসিয়াল পোর্টালে প্রবেশ করতে হবে: https://rescrutiny.eduboardresults.gov.bd তথ্য পূরণ : নির্ধারিত স্থানে আপনার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর পূরণ করুন এবং বোর্ড ড্রপ ডাউন মেনু থেকে আপনার শিক্ষা বোর্ড নির্বাচন করুন। সাবমিট : সব তথ্য নির্ভুলভাবে দেওয়ার পর ‘Submit’ বাটনে ক্লিক করুন। স্টেপ-২ : মোবাইল নম্বর ও বিষয় নির্বাচন পরবর্তী স্ক্রিনে আপনার তথ্য যাচাই হয়ে গেলে, আপনার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমটি দিতে হবে। মোবাইল নম্বর প্রদান : একটি সক্রিয় মোবাইল নম্বর দিন। পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশিত হলে এই নম্বরে এসএমএস (SMS) পাঠানো হবে। বিষয় নির্বাচন : আপনার বর্তমান বিষয়ভিত্তিক রেজাল্ট স্ক্রিনে দেখাবে। আপনি যে এক বা একাধিক বিষয়ে রেজাল্ট চ্যালেঞ্জ করতে চান, সেই বিষয়গুলো নির্বাচন করে ‘ফি প্রদান করুন’ বাটনে ক্লিক করুন। স্টেপ-৩ : ফি প্রদান ও চূড়ান্ত জমা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য ফি পরিশোধ করা এই প্রক্রিয়ার শেষ ধাপ। আবেদন ফি : প্রতিটি পত্রের জন্য ১৫০ টাকা (TK 150/-) হারে ফি প্রযোজ্য হবে। পেমেন্ট মাধ্যম : ফি পরিশোধের জন্য আপনি বিকাশ, নগদ, সোনালী সেবা, ডিবিবিএল রকেট অথবা টেলিটক মোবাইল সিমের যেকোনোটি ব্যবহার করতে পারেন। আবেদন নিশ্চিতকরণ : সফলভাবে ফি পরিশোধ করার পর আবেদনের পোর্টালে ফিরে এসে অবশ্যই ‘জমা দিন’ (Submit) বাটনে ক্লিক করে আবেদনটি নিশ্চিত করুন। ফল পুনর্নিরীক্ষণসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা ফি ফেরত নেই : একবার ফি জমা দিলে আবেদন করা বিষয়গুলো আর বাতিল করা যাবে না এবং কোনো অবস্থাতেই ফি ফেরত দেওয়া হবে না। সময়সীমা : আবেদন শুরু হবে ১৭ অক্টোবর থেকে এবং চলবে ২৩ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে অবশ্যই আবেদন শেষ করতে হবে। অতিরিক্ত বিষয় যোগ : ফি দিয়ে একবার জমা দেওয়ার পরেও চাইলে আরও কয়েকটি বিষয়ে আবেদন যুক্ত করা যাবে। সেক্ষেত্রে নতুনভাবে তথ্য পূরণ করতে হবে না। ফল প্রকাশ : পুনর্নিরীক্ষণের ফল সাধারণত আবেদন শেষ হওয়ার প্রায় ৩০ দিনের মধ্যে প্রকাশিত হয়।
২৩ অক্টোবর, ২০২৫
বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধান সম্বলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোনয়নলর বিধান কেন অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। বুধবার (২২ অক্টোবর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম জাহাঙ্গীর আলম ও ব্যারিস্টার রুহুল কাইয়ূম। পরে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বেসরকারি স্কুল-কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের মনোয়নের যে বিধান করা হয়েছিল,এটা বৈষম্যমূলক। এ কারণে আদালত প্রজ্ঞাপনটির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন। এর আগে বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধান সম্বলিত প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট মোকছেদুর রহমান আবির এ রিট দায়ের করেন। গত সেপ্টেম্বর জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া অন্য কেউ হতে পারবেন না। নবম গ্রেড বা তার ওপরের পদে কর্মরত কিংবা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সভাপতির প্রার্থীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান হতে হবে। নবম গ্রেডের নিচে নয় এমন সরকারি কর্মকর্তা, পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয় এমন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সভাপতি হতে পারবেন। আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, বিদ্যমান নিয়মে সামান্য সংশোধন আনা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা অথবা চাকরিরত অথবা অবসরে যাওয়া কর্মকর্তার কথা পলিসি লেভেল থেকে ঠিক করা হয়েছে। শুধু সভাপতি পদটির জন্য পরিবর্তন আনা হয়েছে।
২২ অক্টোবর, ২০২৫
আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় একযোগে প্রকাশ করা হবে ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল। দেশের সব সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে একসঙ্গে ফল প্রকাশ করা হবে। আর প্রকাশিত ফল শিক্ষার্থীরা তিনভাবে জানতে পারবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল সকাল ১০টায় প্রকাশ করা হবে। প্রকাশিত ফলাফল শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। এক্ষেত্রে www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে বোর্ড, রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফলাফল দেখা যাবে। আবার কেউ চাইলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কেন্দ্র থেকেও ফলাফল জানতে পারবে৷ আর ফল জানার তৃতীয় পদ্ধতিটি হলো এসএমএস। এক্ষেত্রে নির্ধারিত শর্ট কোড 16222–এ বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর, রোল ও বছর লিখে এসএমএস পাঠিয়েও ফল জানা যাবে। ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষ্যে একই দিন সকাল ১০টায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে, ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন গ্রহণ করা হবে ১৭ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে https://rescrutiny.eduboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে। শিক্ষা বোর্ড বা অন্য কোনো অফিসে সরাসরি আবেদন করা যাবে না। উল্লেখ্য, এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ফরম পূরণ করেন। তাদের মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী। সারা দেশে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন সোয়া ১২ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী।
১৫ অক্টোবর, ২০২৫
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে তিন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও শ্রেণিকক্ষ ভাঙচুরের ঘটনায় ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির জরুরি বৈঠকে ঘটনাস্থলে উপস্থিতদের সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী বহিষ্কারের ঘোষণা দেন। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা সবাই মার্কেটিং বিভাগের। তারা হলেন—সাফায়েত শুভ (১৬ ব্যাচ), শাহরিয়ার অপু (১৬ ব্যাচ), সজিব (১৬ ব্যাচ), সৌরভ (১৬ ব্যাচ), নাজমুজ সাকিব (১৬ ব্যাচ), রোহান সরকার রোহান (১৬ ব্যাচ), জিহাদ (১৬ ব্যাচ) ও আশরাফুল (১৪ ব্যাচ)। এ ছাড়া সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রকৌশল অনুষদের ডিন ইলিয়াস প্রামাণিককে আহ্বায়ক ও প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন—বিজয় ২৪ সালের প্রভোস্ট মিজানুর রহমান, ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন আমির শরীফ ও অধ্যাপক এমদাদ। ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ, বেরোবির ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার রাকসু নির্বাচন / শিবির প্যানেলের ৫ বস্তা খাবার ফেরত পাঠাল নির্বাচন কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেন-জি ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে মার্কেটিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার অপুর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে মীমাংসা হলেও সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন চকবাজার এলাকায় মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরিসংখ্যান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেন। এর জেরে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে রাত সাড়ে ৯টার পর দফায় দফায় স্লোগান দিতে দেখা যায় পরিসংখ্যান ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শ্রেণিকক্ষে ভাঙচুর চালান। এতে আহত পরিসংখ্যান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জনি ও প্রান্ত এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইউসুফ। এর মধ্যে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত প্রান্তকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শওকাত আলী বলেন, ‘বিদ্যাপীঠের মতো পবিত্র জায়গায় যারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বরদাশত করা হবে না।’ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর বহিষ্কারের সংখ্যা বাড়বে বলেও জানান তিনি। নির্দিষ্ট কোনো সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে কি না এ প্রশ্নে উপাচার্য বলেন, ‘বহিষ্কার মানে বহিষ্কার, কোনো সেমিস্টার নেই এখানে। বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কমুক্ত করার জন্য এসব কীটকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করতে হবে।’
১৪ অক্টোবর, ২০২৫
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা ১২ দিনের ছুটি শেষে আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) থেকে খুলছে সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ছুটি শেষে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় আবারও যেমন সরব হয়েছে ওঠে স্কুলের প্রাঙ্গণ। এদিকে শারদীয় ছুটি শেষে আগেই ক্লাস শুরু করেছে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক ছুটির তালিকা অনুযায়ী, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ছুটি শুরু হয়। এ ছুটির মধ্যে ছিল শারদীয় দুর্গাপূজা, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম, প্রবারণা পূর্ণিমা এবং লক্ষ্মীপূজার ছুটি। এর সঙ্গে সাপ্তাহিক দুই দিনের বন্ধও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এদিকে এ ছুটি চলে গতকাল মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) পর্যন্ত। ছুটি ছিল টানা ১২ দিন। দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলো এই ছুটির আওতায়। আর গত ৬ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষ্যে ছিল ঐচ্ছিক ছুটি। ছুটির সময় শিক্ষার্থীদের যেন পরীক্ষার চাপ না থাকে, সে জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগেই নির্দেশনা দিয়েছিল—গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো পরীক্ষার দিন ধার্য না করতে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
৮ অক্টোবর, ২০২৫