logo

📰 TECHNOLOGY News

হোয়াটসঅ্যাপে আসছে থার্ড–পার্টি চ্যাট সুবিধা
হোয়াটসঅ্যাপে আসছে থার্ড–পার্টি চ্যাট সুবিধা
breaking

হোয়াটসঅ্যাপে আসছে থার্ড–পার্টি চ্যাট সুবিধা মেটা ইউরোপীয় ব্যবহারকারীদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, খুব শিগগিরই অ্যাপে যুক্ত হবে থার্ড–পার্টি চ্যাট ইন্টিগ্রেশন। অর্থাৎ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা চাইলে অন্য মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সরাসরি কথোপকথন করতে পারবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট (ডিএমএ)–এর বাধ্যবাধকতা মেনেই এই পদক্ষেপ। ডিএমএ–এর নিয়ম অনুযায়ী, বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের প্ল্যাটফর্ম অন্যান্য সেবার সঙ্গে ইন্টারঅপারেবল করে তুলতে হবে। যাতে ব্যবহারকারীরা এক অ্যাপ থেকে অন্য অ্যাপে নির্বিঘ্নে বার্তা পাঠাতে পারেন। মেটা জানিয়েছে, কয়েক মাস ধরে ছোট পরিসরে পরীক্ষামূলকভাবে যে ফিচার চালানো হচ্ছিল। এখন তা বৃহত্তর পরিসরে উন্মুক্ত করার প্রস্তুতি চলছে। প্রথম ধাপে BirdyChat ও Haiket নামের দুটি মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে যুক্ত হবে। ফলে ইউরোপের ব্যবহারকারীরা এই অ্যাপগুলোর বন্ধুদের সঙ্গে সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ থেকেই বার্তা আদান–প্রদান করতে পারবেন। এখনই টেক্সট, ছবি, ভিডিও, ভয়েস মেসেজ ও ফাইল শেয়ার করা যাবে। তবে থার্ড–পার্টি ব্যবহারকারীদের নিয়ে গ্রুপ চ্যাট তৈরির সুবিধা কিছুটা পরে চালু হবে। যখন অংশীদার অ্যাপগুলো প্রযুক্তিগতভাবে প্রস্তুত হবে। মেটা জানিয়েছে, আগামী কয়েক মাসে ইউরোপ অঞ্চলের ব্যবহারকারীরা হোয়াটসঅ্যাপের “সেটিংস”–এ একটি নোটিফিকেশন পাবেন। সেখানে থার্ড–পার্টি চ্যাট চালু করার প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা থাকবে। চাইলে ব্যবহারকারীরা পরে এই ফিচার বন্ধও করতে পারবেন। তবে একটি সীমাবদ্ধতা আছে। থার্ড–পার্টি ইন্টিগ্রেশন শুধু অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস–এ কাজ করবে। ডেস্কটপ, ওয়েব বা ট্যাবলেট সংস্করণে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না। নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও মেটা সচেতন। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, যে কোনো থার্ড–পার্টি অ্যাপকে হোয়াটসঅ্যাপের সমতুল্য এন্ড–টু–এন্ড এনক্রিপশন মানতে হবে। পাশাপাশি যাতে ব্যবহারকারীরা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারেন কোন বার্তা হোয়াটসঅ্যাপের অভ্যন্তরীণ চ্যাট এবং কোনটি থার্ড–পার্টি থেকে এসেছে। সে ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরেই মেটা দেখিয়েছিল নতুন এই চ্যাট সুবিধাটি দেখতে কেমন হবে। ব্যবহারকারীরা চাইলে থার্ড–পার্টি মেসেজের জন্য আলাদা একটি ফোল্ডার রাখতে পারবেন। অথবা সব বার্তা এক ইনবক্সে একসঙ্গে রাখার অপশনও পাবেন। নতুন কোনো অ্যাপ যুক্ত হলে হোয়াটসঅ্যাপ তাদের নোটিফিকেশন পাঠাবে। ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট মেনে প্রযুক্তি বিশ্বে যে পরিবর্তন আসছে। হোয়াটসঅ্যাপের এই নতুন ফিচার সেই রূপান্তরেরই বড় উদাহরণ। আর ব্যবহারকারীদের জন্য এটি হতে যাচ্ছে আরও উন্মুক্ত ও সুবিধাজনক যোগাযোগ অভিজ্ঞতা।

১৫ নভেম্বর, ২০২৫
এআই নিয়ে চাপে মেটা
এআই নিয়ে চাপে মেটা
breaking

বিশ্বজুড়ে আলোচনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই। গুগল, ওপেনএআই, এনভিডিয়া - সবাই এই প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায়। এই দৌড়ে পিছিয়ে নেই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মালিক প্রতিষ্ঠান মেটা। বরং সবচেয়ে বড় বাজি ধরেছে তারাই। তবে এই বাজি এখন মেটার জন্য কিছুটা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মার্ক জুকারবার্গের প্রতিষ্ঠানটি এআই অবকাঠামো গড়তে যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বিশাল ডেটা সেন্টার নির্মাণ করছে। আগামী তিন বছরে শুধু এ খাতেই ব্যয় হবে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলার। সম্প্রতি প্রকাশিত ত্রৈমাসিক আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় কোম্পানির অপারেটিং খরচ বেড়েছে সাত বিলিয়ন ডলার। আর মূলধনী ব্যয় বেড়েছে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার। জুকারবার্গ ব্যাখ্যা দিয়েছেন, এই ব্যয় মূলত ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ। “আমরা এমন একটি অবস্থায় যেতে চাই, যেখানে মেটার নিজস্ব শক্তিশালী এআই মডেল তৈরি হবে, যা অন্য কোথাও নেই,” বলেন তিনি। তবে এই ব্যাখ্যায় বিনিয়োগকারীরা আশ্বস্ত হননি। প্রতিবেদনের দিন থেকেই মেটার শেয়ারমূল্য হুড়মুড় করে নামতে শুরু করে। দুই দিনের ব্যবধানে কোম্পানির বাজারমূল্য ২০০ বিলিয়ন ডলার কমে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, সমস্যা একটাই- এই বিপুল অর্থ ব্যয়ের বিনিময়ে এখনো কোনো দৃশ্যমান এআই পণ্য বাজারে আনতে পারেনি মেটা। গুগল বা ওপেনএআইয়ের মতো তাদের কোনো সফল বাণিজ্যিক পণ্য নেই। যা আয় বাড়াতে পারে। মেটার সবচেয়ে আলোচিত এআই পণ্য মেটা এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট। যা ব্যবহার করছে এক বিলিয়নের বেশি মানুষ। তবে এই সংখ্যা অনেকটাই ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের বিশাল ব্যবহারকারীভিত্তির কারণে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি এখনো চ্যাটজিপিটির মতো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। জুকারবার্গ জানিয়েছেন, তাদের ল্যাব থেকে তৈরি নতুন মডেলগুলো শিগগিরই বড় পরিবর্তন আনবে। তবে কবে তা বাজারে আসবে, সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা দেননি। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, মেটা এখন এক সন্ধিক্ষণে। প্রতিষ্ঠানটি বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করছে। কিন্তু এখনো জানে না তারা ঠিক কোন পথে এআই ব্যবহার করবে। বিজ্ঞাপন, ব্যবসায়িক সেবা নাকি ভোক্তাপ্রযুক্তি খাতে। এক কথায়, এআইয়ের ভবিষ্যতে বাজি ধরেছে মেটা। কিন্তু এখনো নিশ্চিত নয়, সেই ভবিষ্যৎ কবে আসবে।

৩ নভেম্বর, ২০২৫
আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে ১০টির বেশি সিম
আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে ১০টির বেশি সিম
breaking

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ শনিবার (০১ নভেম্বর) থেকে কোনো জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে ১০টির বেশি সক্রিয় সিম রাখা যাবে না। সংস্থাটি আরও জানায়, অপারেটররা আজ থেকেই অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া শুরু করবে। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে বিটিআরসি জানায়, বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) পরেই অতিরিক্ত সিমগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। এর আগে গত ৩০ জুলাই বিটিআরসি জানিয়েছিল, একজন ব্যক্তির নামে ১০টির বেশি সিম থাকতে পারবে না। অতিরিক্ত সিমগুলো নভেম্বর থেকে বন্ধ করা শুরু হবে। সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারের মাধ্যমে ডি-রেজিস্ট্রার করতে হবে। যদিও এর আগে একজন নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টি সিম ব্যবহার করতে পারতেন। সম্প্রতি বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেন, শনিবার ( ০১ নভেম্বর) থেকেই অপারেটররা অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করবে। ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা নিশ্চিত করব, কোনো এনআইডির নামে ১০টির বেশি সিম সক্রিয় থাকবে না। আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে ১০টির বেশি সিম এক এনআইডিতে সর্বোচ্চ কত সিম, কবে থেকে কার্যকর বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় একজন নাগরিকের এনআইডির বিপরীতে ব্যক্তিগত সিম নিবন্ধনের সর্বোচ্চ সংখ্যা আরও কমানোর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্ত এবং দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১ জানুয়ারি থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের নতুন সিম রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫টিতে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্তটি অনুমোদনের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠানো হবে। অনুমোদন পেলে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। গত ২৬ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছিলেন, নির্বাচনের আগে ব্যক্তিগত পর্যায়ে মোবাইল সিম ব্যবহারের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। বর্তমানে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১০টি সিম ব্যবহার করতে পারেন। নির্বাচনের আগে সেটি কমিয়ে পাঁচ থেকে সাতটি করা হবে। তবে সরকারের লক্ষ্য রয়েছে ব্যক্তি পর্যায়ের সিম ব্যবহার আরও কমিয়ে দুটিতে নামিয়ে আনা। এদিকে গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী জানান, ৩১ অক্টোবরের পর একটি এনআইডির বিপরীতে ১০টির বেশি সিম রাখা যাবে না। পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে সিম সংখ্যা আরও কমিয়ে আনা হবে। একটি এনআইডির বিপরীতে কতগুলো সিম নিবন্ধিত আছে জানতে যেকোনো অপারেটর (গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক বা টেলিটক) থেকে *১৬০০১# লিখে ডায়াল করতে হবে। এরপর ফিরতি মেসেজে জাতীয় পরিচয়পত্রের শেষ চারটি সংখ্যা চাওয়া হবে। সেই সংখ্যা পাঠানোর পর এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে, ওই এনআইডিতে কয়টি সিম নিবন্ধিত আছে এবং কোন কোন অপারেটরের সিম রয়েছে।

১ নভেম্বর, ২০২৫
নোয়াখালীর সকল কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং বিভাগ দাবি নিয়ে অনলাইনে সোচ্চার সকলের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা Noakhali Cyber Warrior's - NCW
নোয়াখালীর সকল কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং বিভাগ দাবি নিয়ে অনলাইনে সোচ্চার সকলের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা Noakhali Cyber Warrior's - NCW
breakingkabirhat

নোয়াখালীর সকল কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং বিভাগ দাবি নিয়ে অনলাইনে সোচ্চার সকলের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা নোয়াখালী বিভাগ আন্দোলনে যারা অনলাইনে কনটেন্ট তৈরি করছেন, পোস্ট দিচ্ছেন এবং গণদাবি তুলছেন, আমরা Noakhali Cyber Warrior's - NCW লক্ষ্য করেছি, কুমিল্লার কিছু অসাধু ব্যক্তি বিনা কারণে একাউন্ট ডিজেবল করা, পেজে স্ট্রাইক দেওয়া কিংবা বিভিন্নভাবে সমস্যা তৈরি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যদি কারো একাউন্ট, পেজ বা কনটেন্ট নিয়ে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন নির্দ্বিধায় আমাদের জানাবেন। আমরা সম্পূর্ণ ফ্রি সাইবার সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকব, এটাই আমাদের অঙ্গীকার। তবে একটি বিষয় স্পষ্টভাবে বলছি নোয়াখালী বিভাগ দাবি করার সময় কোনো জেলার মানুষকে ব্যঙ্গ করা, কাউকে হেয় করা, বিশেষ করে কোনো নারী বা ব্যক্তিকে টার্গেট করে বিদ্বেষমূলক কন্টেন্ট তৈরি করা কঠোরভাবে পরিহার করুন। আপনার কনটেন্ট হোক নোয়াখালীর ইতিহাস, গৌরব, ভাষা, সংস্কৃতি ও সম্ভাবনাকে সারা দেশে তুলে ধরার হাতিয়ার। গর্বের সাথে দাবি তুলুন কিন্তু সম্মান বজায় রেখে। — নোয়াখালী সাইবার ওয়ারিয়র্স

১৪ অক্টোবর, ২০২৫
আপনার নামে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা আছে জানবেন যেভাবে
আপনার নামে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা আছে জানবেন যেভাবে

আপনার নামে কয়টি সিম নিবন্ধন করা আছে, জানেন? অনেকেই হয়তো জানেন না। অথচ এটি জানা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, আপনার অজান্তেই কেউ আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে সিম রেজিস্ট্রেশন করে ফেলতে পারে। পরে সেই সিম কোনো অপরাধমূলক কাজে ব্যবহৃত হলে আপনিই পড়বেন বিপাকে। বর্তমানে মোবাইল ফোনে কল, বার্তা কিংবা ইন্টারনেট—সব ক্ষেত্রেই সিম কার্ড অপরিহার্য। আর এই সিমের নিবন্ধন বাধ্যতামূলকভাবে এনআইডি দিয়ে করতে হয়। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে, একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১০টি সিম ব্যবহার করতে পারবেন। নতুন এই সীমা গত ১৫ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়। এর আগে, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১৫টি সিম ব্যবহার করতে পারতেন। কিন্তু সিম জালিয়াতি ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় বিটিআরসি এই সীমা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। বর্তমানে আপনি চাইলে খুব সহজেই জানতে পারবেন আপনার এনআইডি দিয়ে কয়টি সিম নিবন্ধিত রয়েছে। এজন্য প্রয়োজন শুধু একটি মোবাইল ফোন ও এনআইডির শেষ চারটি সংখ্যা। প্রথমে যে কোনো অপারেটর (গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক বা টেলিটক) থেকে ফোনের ডায়াল মেনুতে গিয়ে *১৬০০১# লিখে ডায়াল করতে হবে। এরপর ফিরতি মেসেজে জাতীয় পরিচয়পত্রের শেষ চারটি সংখ্যা চাওয়া হবে। সেই সংখ্যা পাঠানোর পর ফিরতি এসএমএসে জানিয়ে দেওয়া হবে, আপনার নামে কয়টি সিম নিবন্ধিত রয়েছে এবং কোন কোন অপারেটরের সিম রয়েছে। তবে এখানে নম্বরগুলোর পুরোটা দেখা যাবে না, শুধু শুরু ও শেষের তিন ডিজিট দেখানো হবে। তবে যেকোনো মোবাইল নম্বর দিয়ে সে নম্বরটি কোন আইডিতে নিবন্ধন করা, সেটি এখনো জানা সম্ভব নয়। বিটিআরসির নিরাপত্তাবিষয়ক নীতিমালার কারণে এই তথ্য কেবল মোবাইল অপারেটর ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জন্য সংরক্ষিত। আপনার নামে নিবন্ধিত, কিন্তু আপনি যেসব সিম ব্যবহার করছেন না—সেগুলো বাতিল করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যাদের নামে ১০টির বেশি সিম রয়েছে, তাদের একটি তালিকা মোবাইল অপারেটরদের কাছে পাঠাবে বিটিআরসি। অপারেটররা এসব গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চাইবে, তারা কোন ১০টি সিম রাখতে চান। বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে যেসব সিম থেকে বেশি কল বা ডেটা ব্যবহার হচ্ছে এবং যেগুলো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি)-এর সঙ্গে যুক্ত। ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে মোট ১৮ কোটি ৬২ লাখ সক্রিয় সিম রয়েছে। এর বিপরীতে প্রকৃত গ্রাহক সংখ্যা ৬ কোটি ৭৫ লাখের মতো। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ গ্রাহকের নামে রয়েছে ৫টি বা কম সিম। ৬ থেকে ১০টি সিম রয়েছে ১৬ শতাংশের মতো গ্রাহকের নামে এবং ১১ থেকে ১৫টি সিম রয়েছে মাত্র ৩ শতাংশের কাছাকাছি গ্রাহকের নামে। তাই সিমের অপব্যবহার কিংবা জালিয়াতির ফাঁদে পড়ার আগেই নিজের নামে কয়টি সিম রয়েছে তা জেনে নিন। নিয়মিত যাচাই করুন এবং অপ্রয়োজনীয় সিম বাতিল করে নিজের পরিচয় নিরাপদ রাখুন।

১৪ অক্টোবর, ২০২৫
চীন থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০টি যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ
চীন থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০টি যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ
breakingkabirhat

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন ও জাতীয় আকাশ প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে, সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ সিই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। এই ৪.৫ প্রজন্মের মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট কেনা, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য খরচসহ মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২২০ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৭,০৬০ কোটি টাকা। চুক্তিটি সরাসরি ক্রয় বা জিটুজি পদ্ধতিতে চীন সরকারের সঙ্গে করা হতে পারে এবং চলতি ২০২৫-২৬ ও ২০২৬-২৭ অর্থবছরে এটি বাস্তবায়নের আশা করা হচ্ছে। গণমাধ্যমের হাতে আসা আনুষ্ঠানিক নথিপত্র অনুযায়ী, এই যুদ্ধবিমানের মূল্য ২০৩৫-২০৩৬ অর্থবছর পর্যন্ত ১০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। জে-১০ সিই জঙ্গিবিমান মূলত চীনের বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত জে-১০সি-এর রপ্তানি সংস্করণ। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে তৈরি করা সম্ভাব্য খরচের হিসাব অনুযায়ী, প্রতিটি ফাইটার জেটের মূল্য ৬ কোটি ডলার প্রাক্কলন করা হয়েছে, এতে ২০টি বিমানের মোট মূল্য দাঁড়ায় ১২০ কোটি ডলার বা প্রায় ১৪,৭৬০ কোটি টাকা। স্থানীয় ও বৈদেশিক প্রশিক্ষণ, যন্ত্রপাতি কেনা এবং পরিবহন খরচ বাবদ আরও ৮২ কোটি ডলার বা ১০ হাজার ৮৬ কোটি টাকা যোগ হবে। এর সঙ্গে বীমা, ভ্যাট, এজেন্সি কমিশন, পূর্ত কাজসহ অন্যান্য খরচ যোগ করলে মোট ব্যয় হবে ২২০ কোটি ডলার। উল্লেখ্য, গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে পাকিস্তান এই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ফ্রান্সের তৈরি ভারতের একাধিক রাফায়েল যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি করেছিল (যদিও তা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি), যার ফলে জে-১০ সিই বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসে। চলতি বছরের মার্চে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরের সময় চীনের কাছ থেকে এই বহুমাত্রিক জঙ্গিবিমান কেনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল এবং চীন প্রস্তাবটিতে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছিল বলে জানা যায়। এই যুদ্ধবিমান কেনার জন্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে গত এপ্রিলে বিমানবাহিনীর প্রধানকে সভাপতি করে ১১ সদস্যের একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি খসড়া চুক্তিপত্র নিরীক্ষণ করবে, জিটুজি পদ্ধতিতে কেনা সমীচীন হবে কি-না তা যাচাই-বাছাই করবে এবং চীনা প্রতিনিধিদের সঙ্গে দরকষাকষির মাধ্যমে চূড়ান্ত মূল্য, পরিশোধের শর্তাবলী (টার্মস অব পেমেন্ট) ও চুক্তিপত্র চূড়ান্ত করবে। চুক্তিপত্রে যুদ্ধবিমানের সংরক্ষণ সহায়তা, প্রশিক্ষণ, খুচরা যন্ত্রাংশ ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো উল্লেখ থাকবে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ-এর প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল এ এন এম মনিরুজ্জামান (অব.) গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমাদের বিমানবাহিনীর অনেকদিন ধরেই জঙ্গিবিমানের প্রয়োজন রয়েছে এবং তারা কেনার জন্য পরিকল্পনাও করছিল।' তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, 'বর্তমানে বিশ্বে এক ধরণের ভূ-রাজনৈতিক বলয় সৃষ্টি হয়েছে। তাই কোনো দেশ থেকে কেনার আগে তার ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন আছে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে এখন টানাপোড়েন চলছে। এটি যেমন বিবেচনায় নিতে হবে, তেমনি আমাদের যুদ্ধবিমানের প্রয়োজন আছে, তাও বিবেচনা করতে হবে।' চীনের বাইই অ্যারোবেটিক টিম তাদের প্রদর্শনী বহরে সর্বাধুনিক জে-১০সি মডেল অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা বর্তমানে চীনের অন্যতম উন্নত মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান হিসেবে বিবেচিত। এই ফাইটার জেটের উন্নত পারফরম্যান্স, পাইলটদের দক্ষতা এবং ওয়াইইউ–২০ এরিয়াল ট্যাংকারের সহায়তায় আন্তর্জাতিক এয়ারশোতে দীর্ঘ দূরত্বের ফ্লাইট পরিচালনা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (বিএএফ) মোট ২১২টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যার মধ্যে ৪৪টি ফাইটার জেট। এর মধ্যে ৩৬টি চীনা নির্মিত এফ–৭ যুদ্ধবিমান। বিএএফের বহরে পুরানো মডেলের পাশাপাশি ৮টি মিগ-২৯বি এবং রাশিয়ান ইয়াক-১৩০ লাইট অ্যাটাক বিমান রয়েছে। জে-১০ সিরিজ যুক্ত হলে তা বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নে এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হবে।

৮ অক্টোবর, ২০২৫