
গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে পরপর তিনবার হারিয়ে হ্যাটট্রিক করেছিল ভারত। এবার দোহায় রাইজিং স্টার এশিয়া কাপে প্রতিশোধ নিলো পাকিস্তানের যুবারা। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি লড়াইয়ে হেরে গেল ভারত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৩৬ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল ভারত ‘এ’ দল। জবাব মাজ সাদাকাতের ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটের জয় পেয়েছে পাকিস্তান শাহিন্স বা ‘এ’ দল (asia cup india vs pakistan cricket match)। কাতারের দোহায় টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল ভারত। উবেদ শাহের প্রথম বলেই চার মেরে শুরুটা ভালো করেছিলেন বৈভব সূর্যবংশী। পরের ওভারে শাহিদ আজিজকে একটি চার এবং একটি ছয় মারেন। ভালো শুরু পেয়ে যায় ভারত। এরপরই শুরু হয় উইকেট হারানোর পালা। চতুর্থ ওভারে শহিদ তুলে নেন ওপেনার প্রিয়াংশ আর্যকে (১০)। প্রথম ম্যাচে বৈভব যেমন খেলেছিলেন, তার ধারেকাছেও যেতে পারলেন না এদিন। বরং কিছুটা ধীরগতিতেই খেলছিলেন। এদিনের পিচও ছিল মন্থর গতির। বল পড়ে ব্যাটে ভালোভাবে আসছিল না। ফলে বড় শট খেলা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। তবু বৈভব চেষ্টা করছিল বড় শট খেলার। সুফিয়ান মুকিম দশম ওভারে তুলে নেন ভারতের ওপেনারকে। মুকিম খেলেছিলেন এশিয়া কাপেও। তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভারতকে বড় ধাক্কা দেয় পাকিস্তান। পাঁচটি চার এবং তিনটি ছয়ের সাহায্যে ২৮ বলে ৪৫ করে সাজঘরে ফেরেন বৈভব। বৈভবের আগেই আউট হয়ে যান নমন ধীরও। তিনি ছ’টি চার এবং একটি ছয়ের সাহায্যে ২০ বলে ৩৫ রান করেন। বৈভব ফিরতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ভারতের ইনিংস। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা। পরের দিকে নেমে হর্ষ দুবে (১৯) কিছুটা চেষ্টা করলেও ভারত বড় রান করতে পারেনি। ১৯ ওভারের মধ্যে ১৩৬ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারতের যুবারা। এই রান পাকিস্তানের জন্য তোলা কঠিন ছিল না। তা ছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা আরও সহজ হয়ে যায়। দ্বিতীয় ওভারেই ১৪ রান দেন যশ ঠাকুর। পঞ্চম ওভারে গুরজপনীত সিংহ ১৮ রান দেন। পাকিস্তানের বোলাররা যেখানে নিয়ন্ত্রিত বল করছিলেন, সেখানে ভারতের বোলারদের লাইন-লেংথের কোনো ঠিক ছিল না। পাকিস্তানের অর্ধশতরানকারী ব্যাটার মাজ সাদাকাতের ক্যাচ দু’বার পড়েছে। এক বার ০ রানে, এক বার ৫৩ রানে। শেষ ক্যাচটি খুবই সহজ ছিল, যা ফেলে দেয় বৈভব। তবে দশম ওভারে যে বিতর্ক হয়েছে তা ছাপিয়ে গিয়েছে বাকি সব কিছুকেই। সেই সাদাকাতই ম্যাচ জিতিয়ে দেন। সাতটি চার এবং চারটি ছয়ের সাহায্যে ৪৭ বলে ৭৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ভারতের হয়ে একটি করে উইকেট যশ এবং সুযশের।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫০ শতাংশ সদস্যকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ তথ্য জানান। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর ৫০ শতাংশ সদস্যকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে না; এ সংক্রান্ত যা ছড়িয়েছে সেটা গুজব, এরকম কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে সরকার শঙ্কিত কিনা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, তারা লকডাউন বা শাটডাউনের যে কর্মসূচি রেখেছে সেই বিষয়ে সরকার শঙ্কিত নয়।

কবিরহাট প্রতিনিধি নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় ট্রাক চাপায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা আরোহী ৬জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে উপজেলার কবিরহাট টু বসুরহাট সড়কের আলিয়া মাদরাসার সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো, সিএনজি চালক খোকন (৪৬) সিএনজি আরোহী শিক্ষার্থী তানিম হাসান (২৬), মো.সুমন (৩৩) ও শাহাদাত হোসেন (৩৬)। তবে তাৎক্ষণিক এক নারীসহ দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে জেলা শহর মাইজদী থেকে ৫জন যাত্রী নিয়ে বসুরহাটের উদ্দেশ্যে একটি যাত্রীবাহী সিএনজি রওয়ানা দেয়। যাত্রা পথে সিএনজিটি উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কবিরহাট টু বসুরহাট সড়কের আলিয়া মাদরাসার সামনে পৌঁছলে সিএনজির সামনের এক্সেল ভেঙ্গে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের উল্টো পাশে চলে যায়। ওই সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাক যাত্রীবাহী সিএনজিকে চাপা দিয়ে অনেক দূর নিয়ে যায়। এতে সিএনজি চালকসহ ৪জন যাত্রী ঘটনাস্থলে মারা যায়। ২জনকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহীন মিয়া বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দুর্ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসছে। এ দুর্ঘটনায় মোট ৬জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পরপরই ট্রাকের চালক পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ট্রাক জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

২০২৬-২০২৮ কার্যকালের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির নির্বাচিত হয়েছেন ডা. শফিকুর রহমান। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অভ্যন্তরীণ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম গতকাল ১ নভেম্বর (শনিবার) রাতে সংগঠনের ‘আমির’ নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন। দলটির প্রচার ও মিডিয়া বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৯ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশের (সদস্য) রুকনদের নিকট থেকে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোটগ্রহণের কার্যক্রম শেষে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম ভোট গণনা শেষ করেন। প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী ২০২৬-২০২৮ কার্যকালের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির নির্বাচিত হয়েছেন ডা. শফিকুর রহমান। আরও পড়ুন বাংলাদেশের শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে হঠাৎ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত বিজ্ঞাপন ডা. শফিকুর রহমান ১৯৫৮ সালের ৩১ অক্টোবর মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে স্থানীয় বরমচাল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৭৬ সালে সিলেট এম সি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৮৩ সালে সিলেট মেডিকেল কলেজ (বর্তমান এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ) থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জনের পর চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি রাজনীতিতে আত্মনিয়োগ করেন। শফিকুর রহমান জাসদ ছাত্রলীগের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ১৯৭৩ সালে জাসদ ছাত্রলীগে যোগদান করেন। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরে যোগদান করেন। পরবর্তি সময়ে এই সংগঠনের সিলেট মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি এবং সিলেট শহর শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালে জামায়াতে ইসলামীতে যোগদানের মাধ্যমে তিনি বৃহত্তর রাজনীতিতে পদার্পন করেন। এরপর সিলেট শহর, জেলা ও মহানগরী আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীর রুকনদের (সদস্য) প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে আমির নির্বাচিত হন

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় রাতের আঁধারে এক কৃষকের কয়েক শতক জমির ক্ষেতের প্রায় ৫০০টি লাউ, করলা ও কুমড়ার গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ফতেহপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শফিকুল ইসলাম এটি দেখে ভেঙে পড়েন। শফিকুল স্থানীয় যুবলীগের সাধারণ কর্মী এবং হুমায়ুন কবিরের ছেলে। শফিকুল জানান, তিন মাস আগে তিনি বাড়ির পাশে কয়েক শতক জমিতে আগাম সবজি চাষ করেন। নিয়মিত পরিচর্যার ফলে ভালো ফলন হয়েছিল। শুক্রবার সকালে যখন জমিতে যান দেখেন সব গাছ পুরোপুরি কাটা পড়ে আছে। এতে তার দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দা মো. বাবলু বলেন, এভাবে ৫০০-এর অধিক গাছ নিধন করা নিছক অপরাধ নয় — এটা চরম নোংরামি ও অমানবিকতা। একজন মানুষের স্বপ্ন ও ভবিষ্যতের ওপর আঘাত করা হয়েছে। এ ধরনের কাজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। কৃষক শফিকুল আরও বলেন, তার কারো সঙ্গে প্রকাশ্য শত্রুতা নেই। পূর্বে আমার মাছ ও মহিষ নিয়ে গেছে। মাছের গাড়ি নিয়ে গেছে। আমি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করি নাই। আমি কখনো কারো ক্ষতি করি নাই। আমি তেমন রাজনীতিও করি না। কেবল সাধারণ কর্মী। তাও কেনো বারবার আমার ও আমার সন্তানদের রিজিক নষ্ট করা হচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে দ্রুত বিচার ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। এ ঘটনায় স্থানীয় জামায়াত নেতা সাইফুল ইসলাম হুজুর বলেন, রিজিকের ওপর এমন হাত দিলে আল্লাহ নারাজ হন। আমরা কারো ক্ষতি চাই না, কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এমন করেছে। তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত। কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি কিন্তু কোনো অভিযোগ পাইনি। যদি ভুক্তভোগী অভিযোগ দায়ের করে তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) সংশোধনী ২০২৫-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সময় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। আরপিওর সংশোধনীতে ‘না ভোট’-এর বিধান ফিরিয়ে আনার কথা জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘না ভোট’-এর একটা বিধান করা হয়েছে। যেই নির্বাচনে একজন প্রার্থী থাকবে... আপনাদের ২০১৪ সালের ভুয়া নির্বাচনের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। ১৫৩ বা ১৫৪টি আসনে একজন প্রার্থী ছিল, সাজানো নির্বাচন ছিল। এই ধরনের নির্বাচন যেন আর না হয়। একজন প্রার্থী থাকলে সেখানে যারা ভোটার আছেন, তারা ‘না ভোট’ দিতে পারবেন, যে এই প্রার্থী তাদের পছন্দ না। তখন সেখানে আবার নির্বাচন হবে। আসিফ নজরুল আরও জানান, সংশোধিত আরপিওতে ইভিএম সম্পর্কিত যেসব বিধান ছিল, সেগুলো বিলুপ্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় পলাতক ব্যক্তিরা নির্বাচন করতে পারবে না, সংশোধিত আরপিওতে সেটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নির্বাচনে প্রার্থীদের তাদের দেশি ও বিদেশি সব আয় ও সম্পত্তির বিস্তারিত বিবরণ নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে এবং তা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। জোটবদ্ধ নির্বাচন করলেও প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে। ভোটাররা যাতে পরিষ্কার ধারণা পান, প্রার্থী কোন দলের, এ জন্য এই বিধান করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রবাসীরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। একইভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রিসাইডিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসারসহ নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্তদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। সংশোধিত আরপিওতে ভোট গণনার স্থানে মিডিয়া থাকতে পারবে, এমন বিধান রাখা হয়েছে। রাজনৈতিক দলকে চাঁদা বা অনুদান হিসেবে ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি টাকা দিলে তা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। যিনি চাঁদা দেবেন, তার ট্যাক্স রিটার্নও জমা দিতে হবে। আগে ভোটকেন্দ্রে গন্ডগোল হলে নির্বাচন কমিশন সেই কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করতে পারত, সেই বিধান ছিল। এখন অনিয়মের কারণে নির্বাচন কমিশন চাইলে পুরো নির্বাচনী এলাকার ভোটই বাতিল করতে পারবে, সেই বিধান করা হয়েছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম

নোয়াখালীর সকল কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং বিভাগ দাবি নিয়ে অনলাইনে সোচ্চার সকলের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা নোয়াখালী বিভাগ আন্দোলনে যারা অনলাইনে কনটেন্ট তৈরি করছেন, পোস্ট দিচ্ছেন এবং গণদাবি তুলছেন, আমরা Noakhali Cyber Warrior's - NCW লক্ষ্য করেছি, কুমিল্লার কিছু অসাধু ব্যক্তি বিনা কারণে একাউন্ট ডিজেবল করা, পেজে স্ট্রাইক দেওয়া কিংবা বিভিন্নভাবে সমস্যা তৈরি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যদি কারো একাউন্ট, পেজ বা কনটেন্ট নিয়ে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন নির্দ্বিধায় আমাদের জানাবেন। আমরা সম্পূর্ণ ফ্রি সাইবার সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকব, এটাই আমাদের অঙ্গীকার। তবে একটি বিষয় স্পষ্টভাবে বলছি নোয়াখালী বিভাগ দাবি করার সময় কোনো জেলার মানুষকে ব্যঙ্গ করা, কাউকে হেয় করা, বিশেষ করে কোনো নারী বা ব্যক্তিকে টার্গেট করে বিদ্বেষমূলক কন্টেন্ট তৈরি করা কঠোরভাবে পরিহার করুন। আপনার কনটেন্ট হোক নোয়াখালীর ইতিহাস, গৌরব, ভাষা, সংস্কৃতি ও সম্ভাবনাকে সারা দেশে তুলে ধরার হাতিয়ার। গর্বের সাথে দাবি তুলুন কিন্তু সম্মান বজায় রেখে। — নোয়াখালী সাইবার ওয়ারিয়র্স

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় নজরুল ইসলাম স্বপন নামে বিএনপির এক সাবেক নেতার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে নজরুল ইসলামকে মহিলা জামায়াত কর্মীদের ‘পেটানোর নির্দেশ’ দিতে শোনা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৫৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। জানা গেছে, গত ১১ অক্টোবর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে এক মহিলা সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন। আর বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন। এ সময় তিনি মহিলা জামায়াত কর্মীদের প্রতিহতের কথা বলেন। ৫৪ সেকেন্ডের বক্তব্যে নজরুল ইসলাম স্বপন বলেন, ‘এখানে শতকরা ৯৫ পার্সেন্ট মানুষ বিএনপি করে এবং বিএনপি পরিবার। এখানে কোনো জামায়াত-শিবিরের কোনো মহিলা, শুরা সদস্য ঢুকতে দেওয়া হবে না। আপনারও এলার্ট থাকবেন। বিশেষ করে মা-বোনদের মাঝে কোনো রকমের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা যাবে না। আপনাদেরকে শুরা সদস্য বলে, আল্লাহর আইন বলে, আপনাদের বেহেশতের সার্টিফিকেট দেবে নাকি দাঁড়ি পাল্লায় ভোট দিলে। নাউজুবিল্লাহ চিন্তা করেন কত বিশাল মাপের একটা কথা। মানুষ হজ করে, মক্কা শরিফ যায়, দরকার আছে? তাদেরকে ভোট দিয়ে আমি বেহেশতে চলে যাইতেছি। একদম পিডাইবেন যদি এই রকম মহিলা ঢুকে।’ এদিকে মহিলা জামায়াত কর্মীদের নিয়ে এমন বক্তব্য দেওয়ায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সুন্দলপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির হাফেজ নুরুল্লাহ এবং সেক্রেটারি মাওলানা সাইফুল ইসলাম। তারা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ব্যানারে এক উঠোন বৈঠকে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এবং জেলা আহ্বায়ক কমিটির বর্তমান সদস্য কামরুল হুদা চৌধুরী লিটনের উপস্থিতিতে সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহিলা কর্মীদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ, উস্কানিমূলক, উদ্দেশ্যমূলক ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান এবং জামায়াত শিবিরের মহিলা কর্মীদেরকে ইউনিয়নে ঢুকতে না দেওয়া ও ধরে পেটানোর হুমকি প্রদান করেন। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রচারের অধিকার সব নাগরিকের রয়েছে। কিন্তু নিজ দলের ব্যর্থতা ও অপরাধ ঢাকতে অন্য দলের সদস্যদের ব্যাপারে মিথ্যা বক্তব্য এবং হুমকি প্রদান বিগত ফ্যাসিবাদের চরিত্রই বহন করে। তারা আরও বলেন, প্রত্যেক রাজনৈতিক দল তাদের আদর্শ প্রচার করবে এবং আদর্শিক সমালোচনাও করবে। এটাই সবার গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে নিজ দলের ব্যর্থতা এবং অপরাধ ঢাকতে অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে উস্কানিমূলক, মিথ্যা, মানহানিকর, বিভ্রান্তিমূলক ও উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য প্রদান এবং আক্রমণ করার হুমকি দেওয়া কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য হতে পারে না। যা অতীতে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী শক্তি করেছিল। এইভাবে যদি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চলতে থাকে তাহলে পরবর্তীতে সৃষ্ট পরিস্থিতির জন্য সব দায়-দায়িত্ব বক্তব্য প্রদানকারী বক্তা এবং তার দলকেই নিতে হবে। আমরা সংশ্লিষ্ট দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করাসহ এমন উস্কানিমূলক ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদানকারী এবং হুমকিদাতার বিষয়ে সঠিক তদন্ত ও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি এবং ভবিষ্যতে এই জাতীয় বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন বলেন, আমাদের সবাইকে সংযত হতে হবে। আমি রাজনৈতিক মাঠে একটা বক্তব্য দিয়েছি সেটা আমার ভুল হয়েছে। এটা আমার বলা উচিত হয়নি। তবে আমাকে বর্তমানে যেভাবে গালিগালাজ করা হচ্ছে আমি তার তীব্র নিন্দা জানাই। আপনারা কেবল আমার বক্তব্য শুনেছেন। কিন্তু তারা যে আমাকে খারাপ ভাষায় কথা বলছে তা দেখছেন না? নজরুল ইসলাম স্বপনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এবং জেলা আহ্বায়ক কমিটির বর্তমান সদস্য কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন। তিনি বলেন, উঠান বৈঠকে যখন বক্তব্য দিয়েছি তখন আমি তার পাশেই ছিলাম। কিন্তু তার বক্তব্য আমার স্মরণে ছিল না। বাসায় আসার পর ফেসবুকে বক্তব্যটা ছড়িয়ে পড়লে আমি দেখতে পাই। সেখানে সে যে ভাষায় কথা বলেছে এটা তার উচিত হয়নি। আমি তাকে সতর্ক করেছি এবং বলেছি আগামীতে যেন এমন বক্তব্য না দেয়।

নোয়াখালী প্রতিনিধি: বিশ্ব ব্যাংক ও পিকেএসএফ-এর সহযোগিতায় দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়িত “Recovery and Advancement of Informal Sector Employment (RAISE)” প্রকল্পের আওতায় শিক্ষানবিশ ও তরুণ উদ্যোক্তা নির্বাচনের লক্ষ্যে নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার অন্তর্গত আবদুল্লাহ মিয়ার হাট শাখার উদ্যোগে এক কমিউনিটি আউটরিচ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা জনাব আনোয়ার হোসেন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ জনাব ওবায়দুল হক আজাদ, এরিয়া কো-অর্ডিনেটর জনাব মোহাম্মদ জিহাদুল ইসলাম, শাখা ব্যবস্থাপক জনাব আলা উদ্দিন টুটুল, এবং সমৃদ্ধি কর্মসূচির উপজেলা সমন্বয়কারী জনাব ইয়াছিন রুবেল। এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন রেইজ প্রকল্পের সমন্বয়কারী, কেইস ম্যানেজমেন্ট অফিসার, অফিসার (LSED), হিসাবরক্ষণ অফিসারসহ শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সভায় আবদুল্লাহ মিয়ার হাট এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত উৎসাহী তরুণ-তরুণীরা অংশগ্রহণ করেন। তরুণদের কর্মসংস্থান, দক্ষতা উন্নয়ন এবং উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মনির্ভরশীল করে তোলা বিষয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। বক্তারা বলেন, দেশের উন্নয়নে তরুণরাই সবচেয়ে বড় সম্পদ। সঠিক দিকনির্দেশনা ও সুযোগ পেলে তারা শুধু নিজেদের জীবনের পরিবর্তন ঘটাবে না, বরং সমাজ ও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। রেইজ প্রকল্পের মাধ্যমে এই তরুণদের বাস্তবভিত্তিক প্রশিক্ষণ, আর্থিক পরামর্শ এবং উদ্যোক্তা উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়। সভা শেষে উপস্থিত তরুণ-তরুণীরা আত্মকর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন ও জাতীয় আকাশ প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে, সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ সিই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। এই ৪.৫ প্রজন্মের মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট কেনা, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য খরচসহ মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২২০ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৭,০৬০ কোটি টাকা। চুক্তিটি সরাসরি ক্রয় বা জিটুজি পদ্ধতিতে চীন সরকারের সঙ্গে করা হতে পারে এবং চলতি ২০২৫-২৬ ও ২০২৬-২৭ অর্থবছরে এটি বাস্তবায়নের আশা করা হচ্ছে। গণমাধ্যমের হাতে আসা আনুষ্ঠানিক নথিপত্র অনুযায়ী, এই যুদ্ধবিমানের মূল্য ২০৩৫-২০৩৬ অর্থবছর পর্যন্ত ১০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। জে-১০ সিই জঙ্গিবিমান মূলত চীনের বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত জে-১০সি-এর রপ্তানি সংস্করণ। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে তৈরি করা সম্ভাব্য খরচের হিসাব অনুযায়ী, প্রতিটি ফাইটার জেটের মূল্য ৬ কোটি ডলার প্রাক্কলন করা হয়েছে, এতে ২০টি বিমানের মোট মূল্য দাঁড়ায় ১২০ কোটি ডলার বা প্রায় ১৪,৭৬০ কোটি টাকা। স্থানীয় ও বৈদেশিক প্রশিক্ষণ, যন্ত্রপাতি কেনা এবং পরিবহন খরচ বাবদ আরও ৮২ কোটি ডলার বা ১০ হাজার ৮৬ কোটি টাকা যোগ হবে। এর সঙ্গে বীমা, ভ্যাট, এজেন্সি কমিশন, পূর্ত কাজসহ অন্যান্য খরচ যোগ করলে মোট ব্যয় হবে ২২০ কোটি ডলার। উল্লেখ্য, গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে পাকিস্তান এই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ফ্রান্সের তৈরি ভারতের একাধিক রাফায়েল যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি করেছিল (যদিও তা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি), যার ফলে জে-১০ সিই বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসে। চলতি বছরের মার্চে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরের সময় চীনের কাছ থেকে এই বহুমাত্রিক জঙ্গিবিমান কেনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল এবং চীন প্রস্তাবটিতে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছিল বলে জানা যায়। এই যুদ্ধবিমান কেনার জন্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে গত এপ্রিলে বিমানবাহিনীর প্রধানকে সভাপতি করে ১১ সদস্যের একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি খসড়া চুক্তিপত্র নিরীক্ষণ করবে, জিটুজি পদ্ধতিতে কেনা সমীচীন হবে কি-না তা যাচাই-বাছাই করবে এবং চীনা প্রতিনিধিদের সঙ্গে দরকষাকষির মাধ্যমে চূড়ান্ত মূল্য, পরিশোধের শর্তাবলী (টার্মস অব পেমেন্ট) ও চুক্তিপত্র চূড়ান্ত করবে। চুক্তিপত্রে যুদ্ধবিমানের সংরক্ষণ সহায়তা, প্রশিক্ষণ, খুচরা যন্ত্রাংশ ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো উল্লেখ থাকবে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ-এর প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল এ এন এম মনিরুজ্জামান (অব.) গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমাদের বিমানবাহিনীর অনেকদিন ধরেই জঙ্গিবিমানের প্রয়োজন রয়েছে এবং তারা কেনার জন্য পরিকল্পনাও করছিল।' তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, 'বর্তমানে বিশ্বে এক ধরণের ভূ-রাজনৈতিক বলয় সৃষ্টি হয়েছে। তাই কোনো দেশ থেকে কেনার আগে তার ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন আছে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে এখন টানাপোড়েন চলছে। এটি যেমন বিবেচনায় নিতে হবে, তেমনি আমাদের যুদ্ধবিমানের প্রয়োজন আছে, তাও বিবেচনা করতে হবে।' চীনের বাইই অ্যারোবেটিক টিম তাদের প্রদর্শনী বহরে সর্বাধুনিক জে-১০সি মডেল অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা বর্তমানে চীনের অন্যতম উন্নত মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান হিসেবে বিবেচিত। এই ফাইটার জেটের উন্নত পারফরম্যান্স, পাইলটদের দক্ষতা এবং ওয়াইইউ–২০ এরিয়াল ট্যাংকারের সহায়তায় আন্তর্জাতিক এয়ারশোতে দীর্ঘ দূরত্বের ফ্লাইট পরিচালনা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (বিএএফ) মোট ২১২টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যার মধ্যে ৪৪টি ফাইটার জেট। এর মধ্যে ৩৬টি চীনা নির্মিত এফ–৭ যুদ্ধবিমান। বিএএফের বহরে পুরানো মডেলের পাশাপাশি ৮টি মিগ-২৯বি এবং রাশিয়ান ইয়াক-১৩০ লাইট অ্যাটাক বিমান রয়েছে। জে-১০ সিরিজ যুক্ত হলে তা বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নে এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হবে।

ওপার বাংলার জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিত মুখার্জি ও অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। এই দম্পতির ব্যক্তিগত জীবন বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ক্যারিয়ার থেকে শুরু করে দাম্পত্য, প্রায় সব কিছু নিয়েই তাদের আলোচনা দুই বাংলার বিনোদন পাড়ায়। তবে সম্প্রতি তাদের সম্পর্ক নিয়ে ভাঙনের গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে, যার মূলে রয়েছে অভিনেত্রী মিথিলার সাম্প্রতিক একটি মন্তব্য। মিথিলার এই মন্তব্যের পরই প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি সৃজিত-মিথিলার সুখের সংসারে চিড় ধরেছে? এদিকে, সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে ওপার বাংলার অভিনেত্রী সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে টলিপাড়ায় বেশ চর্চা চলছে। এই জল্পনার মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভ সপ্তমীর দিন সুস্মিতার সঙ্গে একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন সৃজিত। শেয়ার করা ছবিগুলোতে দেখা যায়, পূজা মণ্ডপে হাসিমুখে ধরা দিয়েছেন এই জুটি। ম্যাচিং পাঞ্জাবি ও শাড়িতে দুজনকে বেশ মানিয়েছে। যদিও এই ছবিগুলো নিছকই বন্ধুত্ব বা পেশাগত কিনা, সেই বিষয়ে কোনো স্পষ্ট বার্তা নেই, তবে এই মুহূর্তে এই ছবিগুলো নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই খোলাখুলি কথা বলতে পছন্দ করেন মিথিলা। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে এসে তিনি নিজের দাম্পত্য জীবন নিয়ে এমন কিছু মন্তব্য করেছেন, যা গুঞ্জনের পালে জোর বাতাস দিয়েছে। মিথিলা বলেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত আমি (কলকাতা) যাইনি। আমার ভিসা নেই। তার এই মন্তব্যের পরই অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন, সৃজিতের সঙ্গে তার সম্পর্ক কি সত্যিই তলানিতে পৌঁছেছে? এই মন্তব্যে তাদের মধ্যকার দূরত্বের ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট হয়েছে বলে মনে করছেন নেটিজেনরা। পডকাস্টের সঞ্চালক সরাসরি জানতে চেয়েছিলেন, সৃজিত মুখার্জি এখনও তার স্বামী রয়েছেন কিনা। এই প্রশ্নে কিছুটা রহস্য তৈরি করে মিথিলা বলেন, ‘এটা তো যারা বলছে তারা বলছে, আমি কিছুই বলবো না।’ তবে সৃজিত এখনও তার হাজবেন্ড এমন প্রশ্নের জবাবে মিথিলা জানান, হ্যাঁ, পাসপোর্টে তার নামটিও রয়েছে। অভিনেত্রীর এমন কৌশলী উত্তর দুই বিনোদন পাড়ায় এখন তুমুল চর্চার বিষয়। সৃজিত ও মিথিলার দাম্পত্য জীবনের ভবিষ্যৎ কোন দিকে মোড় নেয়, এখন সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন তাদের ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

ইয়াসিন রুবেল, কবিরহাট “একদিন তুমি পৃথিবী গড়েছো, আজ আমি স্বপ্ন গড়বো, স্বযত্নে তোমায় রাখবো আগলে”— এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্বব্যাপী পালিত আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় আলোচনা সভা, সম্মাননা প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) আব্দুল্লাহ মিয়ারহাট কলেজ প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজন করে দীপ উন্নয়ন সংস্থা (DUS) এবং সহযোগিতা প্রদান করে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ওবায়দুল হক আজাদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন। বিশেষ অতিথি ছিলেন দীপ উন্নয়ন সংস্থার এরিয়া ম্যানেজার জিহাদুল ইসলাম মামুন। এ সময় স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তিবর্গ, সমৃদ্ধি কর্মসূচির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, প্রবীণ জনগোষ্ঠী সমাজের অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার। তাঁদের জীবনগাথা থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন প্রজন্মকে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। প্রবীণদের প্রতি শ্রদ্ধা, যত্ন ও সহানুভূতির মনোভাব গড়ে তুললে পারস্পরিক বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। তাঁরা আরও বলেন, পরিবার ও সমাজের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া প্রবীণদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই প্রবীণবান্ধব সমাজ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা। অনুষ্ঠানের শেষে প্রবীণদের মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন অতিথিরা। পরে সমাজে বিশেষ অবদান রাখায় তিনজন শ্রেষ্ঠ প্রবীণকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সবাই প্রবীণদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও আন্তরিকতার এক অনন্য পরিবেশে মিলিত হন।