logo

SUBARNACHAR UPOZILLA

সুবর্ণচের ৭দিন ব্যাপি অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষন কোর্স বসত বাড়িতে সবজি চাষের উদ্বোধন
সুবর্ণচের ৭দিন ব্যাপি অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষন কোর্স বসত বাড়িতে সবজি চাষের উদ্বোধন
noakhalilocal

প্রযুক্তি নির্ভর যুব শক্তি, বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বের অগ্রগতি এই প্রতিপাদ্দকে সামনে রেখে বেকার যুককও যুবনারীদেরকে নিয়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর নোয়াখালী সুবর্ণচরে উপজেলা পর্যায়ে বসত বাড়িতে সবজি চাষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেন। ৪ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় জুবলী স্কুল এন্ড কলেজে ৭দিন ব্যাপি অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষন কোর্স বসত বাড়িতে সবজি চাষের উদ্বোধন করেন সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আফসার সায়মা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাবা রায়েবা আফসার সায়মা বলেন বেকারত্ব রোধ ও স্বাবলম্বী হতে কৃষি প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। এসময় তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের কে আরো বলেন। বসত বাড়িতে সবজি চাষ করে সমাজের বেকার যুবক ও যুবনারীরা নিজেরকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে পারেন। এবং উক্ত প্রশিক্ষণের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হারুন অর রশীদ।এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ খুরশীদ আলম।সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সুবর্ণচর মোঃ সাইফুল আজম। জুবলী স্কুল এন্ড কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন। জুবিলী স্কুল এন্ড কলেজ প্রধান শিক্ষক মোঃ ওয়াহিদ উদ্দিন। এবং অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সদস্য জুবলী স্কুল এন্ড কলেজ ও সভাপতি যুব ফ্রেন্ডস ভিশন ২০০৫ এর, এম,এস,আই শাহিন।

৪ নভেম্বর, ২০২৫
সুবর্ণচরে গৃহবধূকে শারীরিক ও মানসিক টর্চারের অভিযোগ   শশুর বাড়ীর  বিরুদ্ধে
সুবর্ণচরে গৃহবধূকে শারীরিক ও মানসিক টর্চারের অভিযোগ শশুর বাড়ীর বিরুদ্ধে
noakhalibreaking

নোয়াখালীর সুবর্ণচরের গৃহবধূ ১ সন্তানের জননী সাহেনা আক্তারকে শশুর পরিবারের সকল সদস্যদরা মিলে শারীরিক ও মানসিক টর্চার করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূক্তভোগী গৃহবধূ সাহেনা হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়নের মোহাম্মদ পুর গ্রামের বাসিন্দা এনায়েত ব্যাপারীর মেয়ে। সাহেনা অভিযোগ করে বলেন, গত ২০১৭ সালের ৫ই নভেম্বর ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক নোয়াখালীর সুবর্নচর উপজেলার ওয়াপদা ইউনিয়নের পূর্ব চর জব্বর গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা করিমূল মোস্তফা ওরফে খন্তা মোস্তানের ছেলে জিহাদ হোসেনে সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে নুর নবী নামে (বর্তমানে বয়স ৮ বছর) এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর হতে স্বামী, শশুর, ভাশুর রিয়াজ উদ্দিন, শাশুড়ী মাসুদা বেগম, ননদ ফেরদৌসী বেগম, সাহেনা বেগম, আইনুর বেগম ও রাহেনা বেগম আমার এবং আমার বাবার নিকট যৌতুকের দাবি করতে থাকে এবং একাধিকবার আমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। সাহেনার বাবা এনায়েত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, মেয়ের সংসার রক্ষার্থে আমি একাধিকবার বর পক্ষকে নগদ অর্থ প্রদান করলেও তাদের আচরণে কোনো পরিবর্তন আসেনি। পরবর্তীতে আমার মেয়ের স্বামী আলাদা ঘর নির্মাণের জন্য কৌশল করে আমার নিকট ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। আমি ধার-সুদে টাকা জোগাড় করে নগদ ৩ লক্ষ টাকা তাকে প্রদান করি, যা দিয়ে সে পাকা ঘর নির্মাণ করে এবং পরবর্তীতে বিদেশে চলে যায়। ভূক্তভোগী সাহেনা আরো অভিযোগ করেন, তার স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর হতে সে ও সন্তানের ভরণ-পোষণ কিংবা কোন খোঁজ খবর নেয় নাই। অপরদিকে দেশে তার পরিবারের সদস্যরা আমাকে প্রায় গালিগালাজ, মারধর ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। শুধু তাই নয়, গত ১ বছর পূর্বে শশুর- শাশুড়ী ও ননদেরা আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক দেড় ভরি স্বর্ণালংকার (দুইটি বালা, পাঁচটি আংটি ও কানের দুল) যা আমার বাবা বিয়ের সময় আমাকে দিয়েছিলো তা নিয়ে যায়। তাছাড়া প্রায়ই রাতের অন্ধকারে শশুর আমার কক্ষে প্রবেশ করিয়া জোরপূর্বক আমার সন্তানকে নিয়ে যেত। আমার বাবা যখন তাদের কাছে পাওনা টাকা চাই, তখন তারা বিভিন্ন তালবাহানা, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এই দিকে তারা একাধিকবার জানায় যে, আমি এবং আমার বাবা যদি এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করি তবে তারা আমাকে তালাক দিবে এবং আমাকে প্রাণে হত্যা করবে। গত ৮ মাস ধরে আমার স্বামী জিহাদ বিদেশে থেকেও স্ত্রী ও সন্তানের কোনো খোঁজখবর নেয় নাই। অন্যদি শশুর - শাশুড়ী এবং তাদের মেয়েরা নিয়মিতভাবে আমারকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন চালায়। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালে তারা একাধিকবার সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন, কিন্তু তারা কোনো সালিশে হাজির হয় নাই এবং কোনো সমাধানেও আসেনি। বর্তমানে তারা আমাকে সংসার থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। তারা বলছে আমার স্বামী নাকি আমাকে তালাক দিয়েছে। কিন্তু আমি কোন তালাক নামা হাতে পায়নি। সর্বশেষ গত ২১ অক্টোবর দিবাগত রাত্রে তারা আমাকে বেদম মারধর শুরু করলে আমার সৌর চিৎকার শুনে প্রতিবেশী লাকী ও ছকিনাসহ আরো কযেক জন এসে আমাকে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করে। পরদিন আমার বাবা স্থানীয় সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমাকে অসুস্থ অবস্থায় তাদের বাড়ী থেকে এনে চর জব্বার হাসপাতালে ভর্তি করান। ভুক্তভোগী সাহেনা পুরোপুরি সুস্থ হলে আইনের আশ্রয় নেবে বলে জানান কনে পক্ষ।

Yeamin Hossain

Yeamin Hossain

৩০ অক্টোবর, ২০২৫
তদন্ত ছাড়াই ভুয়া প্রতিবেদন, নিরপরাধ ব্যক্তিদের জেলে দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
তদন্ত ছাড়াই ভুয়া প্রতিবেদন, নিরপরাধ ব্যক্তিদের জেলে দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
noakhalibreaking

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর সুবর্ণচরে প্রবাসীর স্ত্রীর পরকীয়ার ঘটনাকে আড়াল করতে মিথ্যা ধর্ষণচেষ্টার মামলা দিয়ে তদন্ত ছাড়াই নিরীহ দুই ব্যক্তিকে জেলে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে প্রবাসীর স্ত্রী শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার চর মজিদ গ্রামে সংবাদ সম্মেলন করে মামলার তিন স্বাক্ষী হোসনেয়ারা বেগম, আবদুল কাইয়ুম ও খতিজা খাতুন এই অভিযোগ তুলে ধরেন। স্বাক্ষীরা জানান, প্রবাসী মো. রাসেলের স্ত্রী শারমিন আক্তার গত ১৬ জুন রাতে নিজ ঘরে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত অবস্থায় স্থানীয়দের হাতে-নাতে ধরা পড়েন। পরে সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিরা পারিবারিক সম্মান রক্ষায় বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। কিন্তু তিন মাস পর প্রবাসী রাসেল দেশে ফিরে এলে শারমিন আক্তার তার পরকীয়ার ঘটনা ঢাকতে প্রতিবেশী মাকছুদ উদ্দিন, নবী ও মাহফুজুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণচেষ্টার ভুয়া মামলা দায়ের করেন। মামলার স্বাক্ষী হোসনেয়ারা বেগম অভিযোগ করেন, “বাদী শারমিন আমার স্বামীকে মামলার তৃতীয় আসামি করে আমাকেও করেছে প্রথম স্বাক্ষী। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক কামরুন নাহার আমাদের কাউকে না জানিয়ে কিংবা কোন বক্তব্য না নিয়েই মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ভুয়া জবানবন্দি ও স্বাক্ষর যুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন।” তিনি আরও বলেন, গত ৬ অক্টোবর সেই প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের পরই নিরপরাধ আসামি নবী ও মাহফুজুল হককে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। সংবাদ সম্মেলন থেকে আসামিদের নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলার বাদী শারমিন আক্তার এবং তদন্ত কর্মকর্তা কামরুন নাহারকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগীরা ও মামলার স্বাক্ষীরা। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় দুই শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেয়। পরে তারা ভুয়া মামলা প্রত্যাহার এবং তদন্ত ছাড়াই ভুয়া প্রতিবেদন দাখিল করায় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক কামরুন নাহারের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক কামরুন নাহার মুঠোফোনে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

Yeamin Hossain

Yeamin Hossain

২৮ অক্টোবর, ২০২৫
 নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ফ্রিজ মিস্ত্রির মৃত্যু।
নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ফ্রিজ মিস্ত্রির মৃত্যু।
local

সুবর্ণচর প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক ফ্রিজ মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের চরকাজী মোখলেছ গ্রামে সাহেদ ডাক্তার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইমাম হোসেন (৩৪) উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়ন ২নম্বর ওয়ার্ডের মো.বোরহানের ছেলে এবং পেশায় একজন ফ্রিজ মিস্ত্রি ছিলেন। স্থানীয়রা জানায়, ইমাম হোসেন স্থানীয় আটকপালিয়া বাজার সাহেদ ডাক্তারের ভাড়াটিয়া শান্তর ফ্রিজ ঠিক করতে যায়। ওই সময় ফ্রিজের বিদ্যুতের সংযোগে হাত দিলে বিদ্যুস্পৃষ্টে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহীন মিয়া বলেন, খবর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

১ অক্টোবর, ২০২৫