
অভিনেতা আফরান নিশোর পরিবর্তে নতুন মুখ কে- এমনই এক সাসপেন্স তৈরি করে প্রচারণামূলক ভিডিও প্রকাশ করে মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান। আর তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলতে থাকল আলোচনা। অবশেষে সেই রহস্যের অবসান ঘটল। সেটি হলো, প্রতিষ্ঠানটি তাদের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিলো তারকা ফুটবলার হামজা চৌধুরীকে। বহুল আলোচিত এই প্রচারণার সবশেষ ভিডিওতে দেখা যায়, ‘নতুন মুখ’ (নিউ ফেস) আসাকে কেন্দ্র করে আফরান নিশোর সঙ্গে হামজা চৌধুরীর এক ধরনের ‘মুখোমুখি’ অবস্থান তৈরি হয়েছে। এর আগে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিও থেকেই সাসপেন্স শুরু। ভিডিওটির শুরুতে দেখা যায়, অভিনেতা আফরান নিশো একটি মেকআপ রুমে কিছুটা উত্তেজিত অবস্থায় কথা বলছেন। তিনি বলছেন, ‘এতকিছুর পরও নিউ ফেস!’ এরপরই একটি অন্ধকার আবহে নিশোকে বলতে শোনা যায়, ‘কে এই নিউ ফেস? তার সাথে দেখা হবে... ফেস টু ফেস!’ এই চ্যালেঞ্জের জবাব দিতেই করিডোরের অন্য প্রান্ত থেকে 'HAMZA' নাম লেখা জার্সি পরা একজনের প্রবেশ ঘটে। তিনি আর কেউ নন, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংলিশ ফুটবলার হামজা চৌধুরী। আফরান নিশোকে নিয়ে যে রহস্য তৈরি হয়েছিল, তা মূলত এই নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার একটি সৃজনশীল প্রচারণা ছিল। সেই মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশের ভক্তদের সঙ্গে হামজা চৌধুরীর শক্তিশালী সম্পর্ক এবং তার ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কারণেই তাকে ব্র্যান্ডের নতুন মুখ হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে।
১৫ নভেম্বর, ২০২৫
মেগাস্টার শাকিব খানকে নিয়ে বর্তমানে সরগরম চলচ্চিত্র পাড়া। একের পর এক নতুন লুক নিয়ে পর্দায় দেখা দিচ্ছেন নায়ক। সম্প্রতি তার আসন্ন সিনেমা ‘সোলজার’-এর লুক প্রকাশ্যে আসে; আর তা ঘিরে দর্শকদের আগ্রহ ওঠে তুঙ্গে। এমন সময়ে এই লুকেই জনসম্মুখে হাজির বাংলার কিং খান। আর তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা তার লুক নিয়ে। কিন্তু এখন এমন একটি খবর পাওয়া গেল, যা শুনে মন খারাপ হতে পারে শাকিব ভক্তদের। সিনে ভক্তরা বলছেন, শাকিব খানের এই লুকে এর আগেও দেখা গেছে; অন্য সিনেমার এক নায়কের লুকে। ঠিক এই সময়ে শাকিব খানের লুক নিয়ে যতটা আলোচনা হচ্ছে, একটা সময় একই রকম আলোচনা হয়েছিল; সেটি মূলত ভারতের দক্ষিণের মালায়ালাম ইন্ডাস্ট্রিজে। হ্যাঁ, সেই ইন্ডাস্ট্রিজের অভিনেতা পৃথ্বীরাজ সুকুমারন এই একই লুকেই ধরা দিয়েছিলেন; কাজেই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, পৃথ্বীরাজের লুক তবেই কি নকল করলেন শাকিব খান? প্রথম ঝলকেই যেন চোখ ধাঁধিয়ে যায়! কালো পোশাকে, গোঁফের আড়ালে ঢাকা এক দৃঢ় ও স্টাইলিশ অভিব্যক্তি; এমন লুক কার না মনে ধরবে! দুই নায়কের দুটি লুক পাশাপাশি করলে দেখা যায়, শাকিব খান এবং পৃথ্বীরাজ সুকুমারন- দুজনকেই দেখা যাচ্ছে কালো রঙের ডেনিম জ্যাকেট বা শার্ট-জ্যাকেটে, যার ওপর সাদা সুতোর কনট্রাস্ট স্টিচিং করা। এই হাই-ভিজিবিলিটি স্টিচিং পুরো আউটফিটটিকে একটি অসাধারণ ডিজাইন এলিমেন্ট দিয়েছে, যা লুকে এনেছে এক অত্যাধুনিক বৈপ্লবিক ছোঁয়া। উভয়ের পোশাকের ডিজাইন এবং কাট প্রায় হুবহু এক। মিল রয়েছে চশমা ও গোঁফ-এও! দুজনের মুখেই রয়েছে তীক্ষ্ণ ও ঘন গোঁফ। সঙ্গে চোখে সানগ্লাস, যা তাদের লুককে রহস্যময় ও ড্যাশিং করে তুলেছে। তবে সানগ্লাসের পার্থক্য রয়েছে! শাকিব খান ব্যবহার করেছেন এভিয়েটর স্টাইলের সানগ্লাস, যা তার চেহারায় যোগ করেছে ক্লাসিক নায়কোচিত ভাব। অন্যদিকে, পৃথ্বীরাজ প্রথম লুকে পরেছেন একটি টর্টসেল ফ্রেমের কালো লেন্সের সানগ্লাস। পরে অবশ্য তিনিও এভিয়েটর স্টাইলের চশমাও ব্যবহার করেন, যা সাদৃশ্যকে আরও স্পষ্ট করে তোলে। এছাড়াও পরিপাটি করে আঁচড়ানো এবং খানিকটা ওয়েভি হেয়ারস্টাইল; যা দুজনেরই সঙ্গে মানিয়ে গেছে। বলা বাহুল্য, এই মিলগুলো এতটাই জোরালো যে, যে কেউ প্রথম দেখায় চমকে উঠতে বাধ্য হবেন। যেন একই ডিজাইনারের হাতে তৈরি হয়েছে দুই অভিনেতার লুক! তবে শাকিবের আসন্ন সিনেমা ‘সোলজার‘-এর গল্পেও পৃথ্বীরাজের সিনেমার সঙ্গে মিল থাকবে কি না, তা নিয়েও থাকছে প্রশ্ন! কারণ, শাকিব খান ‘সোলজার‘ সিনেমায় একজন সৈনিকের চরিত্রে দেশপ্রেমিক হিসেবে দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে লড়তে দেখা যাবে বলে জানা যায়। এই অ্যাকশন-থ্রিলারের প্রেক্ষাপট যেন অনেকটাই মিলে যায় পৃথ্বীরাজ সুকুমারানের আলোচিত সিনেমা ‘এল টু এমপুরান’- এর সঙ্গে। চলতি বছরের মার্চে মালায়ালাম সিনেমা ‘এল টু এমপুরান’-এর প্রচারণায় অভিনেতা পৃথ্বীরাজ সুকুমারান এই একই লুকেই ধরা দেন। এই সিনেমাটি ‘লুসিফার’ ফ্র্যাঞ্চাইজির দ্বিতীয় কিস্তি। এই সিনেমাতে পৃথ্বীরাজ সুকুমারন অভিনয় করছেন জায়েদ মাসুদের চরিত্রে; যিনি হলেন ক্বুরেশি আব্রামের সিন্ডিকেটের একজন বেতনভুক্ত কমান্ডার । ‘লুসিফার’ ছবিতে তাকে এই সিন্ডিকেটের সামরিক প্রধান হিসেবে দেখানো হয়েছিল, এবং ‘এম্পুরান’-এ তার অতীত ও নেপথ্যের কাহিনি তুলে ধরার কথা। অর্থাৎ, একজন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াকু সৈনিক, আর অন্যজন এক প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের সামরিক প্রধান। দুই ভিন্ন চরিত্রেও পোশাকের মিল এক বিশাল প্রশ্নচিহ্ন এঁকে দেয়। তবে কি স্টাইলিশ ‘সিন্ডিকেট ম্যান’-এর ফ্যাশনকেই এবার গ্রহণ করলেন ঢাকাই ‘সোলজার’?
৯ নভেম্বর, ২০২৫
চিত্রনায়িকা পরীমণি এবার নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানকেও যেন বানিয়ে দিলেন আলোচনার নতুন নাট্যমঞ্চ। মালয়েশিয়া সফর, লম্বা আয়োজনে কেক কাটার ধুম- সব মিলিয়ে তার জন্মদিনের উৎসব চলেছে টানা দুই সপ্তহেরও বেশি সময়। কিন্তু পরীমণির এই কথিত ‘লোক দেখানো পার্টিতেই’ এবার এক অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ। সামাজিক মাধ্যমে খোলামেলা মনোভাবের জন্য পরিচিত প্রসূন এবার মুখে লাগাম না দিয়েও পারলেন না। সম্প্রতি পরীমণির জন্মদিনের আমন্ত্রণে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে অভিনেত্রীর, তা সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন ফেসবুকে। তার পোস্ট থেকেই পরিষ্কার, নায়িকার এই জাঁকজমকপূর্ণ পার্টি বাইরে থেকে ঝলমল করলেও অতিথিদের প্রতি সম্মান দেখানোর জায়গায় ছিল বড় ঘাটতি। সেই পোস্টে প্রসূন লেখেন, “পরীমণি মানুষদের দাওয়াত দেয়, মানুষজন যায়। যাওয়ার পর অনেকগুলা সান্ডা-পান্ডা লোক দাঁড়ায় থাকে। যারা আপনার হাঁটার রাস্তা আটকে জিজ্ঞেস করবে ‘আপনি কে?’” এতেই থেমে থাকেননি প্রসূন। পরীমণির আয়োজনে থাকা নিরাপত্তাকর্মীদের আচরণকে সরাসরি অপমানজনক বলেও মন্তব্য করেছেন এই অভিনেত্রী। তার ভাষায়, ‘পরীমণি হয়তো জানে না, তার নাম রৌশন করতে যত লোক সে টাকা খরচ করে রেখেছে, তারা মূলত গেস্টদের অপমান করার কাজই করছে। এই সান্ডাদের কালো রঙের গেঞ্জি-প্যান্ট না পরিয়ে হাতে একটা কাগজ আর কলম ধরিয়ে দিলে বরং খরচ কম হতো, আর অতিথিদেরও অসম্মান হতো না।’ আরও ক্ষোভ জড়িয়ে প্রসূন লেখেন, ‘আমি মিডিয়ার কারও দাওয়াতে যাই না। মেট্রো, রিকশা পেরিয়ে অনেক কষ্ট করে গিয়েছিলাম, কারণ সে আমার পছন্দের মানুষ। পরী, তুমি আমাকে লোক দেখানো পার্টিতে ডেকে এদের দিয়ে না জিজ্ঞেস করালেও পারতে- আমি কে?’ শেষে একরকম আক্ষেপই ঝরে পড়ে প্রসূনের ভাষায়। লেখেন, ‘আমি কে, এটা নিয়ে কথা বলার মতো মানুষ আমি এখনও হতে পারিনি। তাই তোমার সান্ডা-পান্ডাদের নিজের নামটা বলতে পারিনি। বাট আই কেইম, এন্ড লেফট। সি ইউ আদার টাইম, সামহোয়্যার এলস।’ উল্লেখ্য, অভিনেত্রী প্রসূন আজাদই সম্ভবত পরীমণির এসব আয়োজনকে লোক দেখানো বলে সরাসরি অভিহিত করলেন। তবে, পরীমণির এই পার্টিগুলোকে অনেকদিন ধরেই ‘লোক দেখানো’ বলে দাবি করে আসছিলেন নেটিজেনদের একাংশ।
৮ নভেম্বর, ২০২৫.avif&w=3840&q=75)
ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পর আদালত অবশেষে হত্যা মামলা পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন। ঢাকা শহরের ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দিয়েছেন। মামলাটিকে রমনা থানায় তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সালমান শাহ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিয়ে জল্পনা চললেও তদন্তের জন্য কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। নতুন এই আদেশে সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম রমনা থানায় মামলা করেছেন। মামলায় সাবেক স্ত্রী সামিরা হক, খল চরিত্রের অভিনয়শিল্পী ডন হকসহ মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। সালমান শাহ ও ডন দুজনেই ভালো বন্ধু ছিলেন সালমান শাহ ও ডন দুজনেই ভালো বন্ধু ছিলেনকোলাজ সালমানের পরিবার বরাবরই দাবি করে এসেছে, সালমান শাহকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মা নীলা চৌধুরীর অভিযোগ ছিল, তাঁরা হত্যা মামলা করতে গেলে পুলিশ সেটিকে অপমৃত্যুর মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে। পুলিশ বলেছিল, অপমৃত্যুর মামলা তদন্তের সময় যদি বেরিয়ে আসে যে এটি হত্যাকাণ্ড, তাহলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হত্যা মামলায় মোড় নেবে। সালমানের মৃত্যুর পর বরাবরই সালমানের পরিবারের অভিযোগের তির ছিল তাঁর স্ত্রী সামিরার দিকে। আর সামিরা বরাবরই এটি অস্বীকার করেছেন। গত বছর সাবেক স্বামী সালমান শাহর মৃত্যু প্রসঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন সামিরা। একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে সরাসরি বলেছেন, ‘আত্মহত্যা যারা করে, তারা তো কিছু বলে করে না...ইট ইজ সুইসাইড।’ নীলা চৌধুরীর অভিযোগের জবাবে সামিরা বলেন, ‘একটা বাসায় একটা বাচ্চা যখন আত্মহত্যা করে, তখন কি তার মা-বাবাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়? তাহলে আমাকে কেন?’ এরপর নিজের যুক্তি তুলে ধরে সামিরা দাবি করেন, সালমান মানসিকভাবে ছিল ‘সুইসাইডাল বাই নেচার’। তাঁর ভাষায়, ‘এর আগে তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে—মেট্রোপলিটন হাসপাতালের রেকর্ডে দুবারের প্রমাণ আছে, আরেকটি ঘটেছিল অন্য এক হাসপাতালে। তিন ঘটনাই আমার বিয়ের আগের। একবার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে, একবার আমাকে বিয়ে করাতে, আরেকবার ব্যক্তিগত কারণে।’ এদিকে সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনাকে হত্যা মামলা হিসেবে নির্দেশ দেওয়ার আগপর্যন্ত সামিরার সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলো প্রতিবেদকের। এ ঘটনার পর গত চার দিন সামিরার খোঁজ মিলছে না। সামিরা যে ফোন নম্বর ব্যবহার করতেন, তা বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। সরাসরি এবং হোয়াটসঅ্যাপ—কোথাও তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হচ্ছে না। অপরদিকে মামলায় অভিযুক্ত ডন হককে টানা কয়েক দিন ফোনকল ও খুদে বার্তা দেওয়ার পরও তিনি কোনো সাড়া দেননি। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ঢালিউডে অভিষেক ঘটে সালমান শাহর। মাত্র চার বছরের চলচ্চিত্রজীবনে তিনি ২৭টি ছবিতে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। দর্শক ও সমালোচকদের কাছে তিনি ছিলেন একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। মৃত্যুর ২৯ বছর পরও তাঁর নাম চিরস্মরণীয় থেকে গেছে। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশ ও মামলার পুনরুজ্জীবনের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তাঁর ভক্তদের মধ্যে একধরনের উত্তেজনা ও আশার অনুভূতি দেখা দিয়েছে। সালমান শাহর সমর্থকেরা দীর্ঘদিন ধরে এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য রহস্যের সত্য উদ্ঘাটনের অপেক্ষায় ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। মৃত্যুর আগের দিন তিনি ‘প্রেম পিয়াসী’ ছবির ডাবিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এফডিসিতে ছিল সেই ছবির ডাবিং। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন নায়িকা শাবনূর। খুনসুটি ও আনন্দময় মুহূর্তে যেন অদৃশ্য কিছু অশান্তি অপেক্ষা করছিল। ডাবিংয়ের দিনে সালমান শাহ তাঁর বাবাকে ফোন করে বলেন তাঁর স্ত্রী সামিরাকে সাউন্ড কমপ্লেক্সে আনার জন্য। ফোন পাওয়ার পরপরই বাবা সামিরাকে সঙ্গে নিয়ে এফডিসিতে পৌঁছান। শ্বশুরের সঙ্গে সাউন্ড কমপ্লেক্সে এসে সামিরা দেখতে পান, সালমান ও শাবনূর ডাবিং রুমে খুনসুটি করছেন। ওই সময়ের বেশ কিছু বিনোদন সাময়িকীতে শাবনূর ও সালমানকে নিয়ে একাধিক লেখালেখি হয়েছে, তাই শাবনূরের সঙ্গে সালমানকে খুনসুটি করতে দেখে রেগে যান সামিরা। সালমানের বাবা চলে যাওয়ার পর সামিরাও দ্রুত গাড়িতে ওঠেন। ‘অবস্থা জটিল’—বিষয়টি বুঝতে পেরে একই গাড়িতে ওঠেন সালমান শাহ ও চিত্রপরিচালক বাদল খন্দকার। কিন্তু গাড়িতে বসে সালমানের সঙ্গে কথা বলেননি সামিরা। তাঁকে বোঝাতে থাকেন বাদল খন্দকার। গাড়ি এফডিসির গেট পর্যন্ত গেলে সালমান প্রধান ফটকের সামনে নেমে যান। তাঁর সঙ্গে বাদল খন্দকারও নেমে পড়েন। এরপর সেখানে কিছুক্ষণ আড্ডা দেন। এরপর ডাবিং রুমে ফিরে গেলেও সেদিন আর ডাবিং হয়নি। রাত ১১টায় সালমানকে নিউ ইস্কাটন রোডের ফ্ল্যাটে পৌঁছে দেন বাদল খন্দকার। রাতের ঘটনাগুলো নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য প্রকাশ পেয়েছিল, তবে প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে তা ধরা পড়েনি। চলচ্চিত্র পরিচালক শাহ আলম জানান, শেষের দিকে সালমান মানসিক চাপে ছিলেন। পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কের জটিলতা এবং প্রযোজকদের সঙ্গে বোঝাপড়ার ঘাটতি তাঁকে চাপের মধ্যে রেখেছিল। কিছুদিন নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সমিতিতে।
২৬ অক্টোবর, ২০২৫
জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা ও তার স্বামী আশফাকুর রহমান রবিনকে নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বিচ্ছেদের গুঞ্জন। দিন কয়েক আগে দেওয়া নায়িকার এক ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকেই তার সূত্রপাত। এরপর বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনরা জল ঘোলা করতে শুরু করলে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হলেন তিনি। শনিবার বিকেলে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আগের পোস্টের ব্যাখ্যা দিয়ে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিলেন নায়িকা। যেখানে স্বামীর আইডিও ট্যাগ দিতে দেখা যায়। সেই পোস্টে পূর্ণিমা লেখেন, ‘সুদিনে মানুষের বন্ধুর অভাব হয় না। এদের অধিকাংশই হচ্ছে সুযোগসন্ধানী কৃত্রিম বন্ধু। এরা সব সময়ই নিজের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যতিব্যস্ত থাকে। দুর্দিনে এদের খুঁজে পাওয়া ভার! কিছুদিন আগে আমার দেওয়া স্ট্যাটাসটি থেকে এমনটাই বোঝানো হয়েছিল। আসলে প্রতিটি মানুষের চারপাশে যা কিছু ঘটে, এসবকে কেন্দ্র করেই স্ট্যাটাসটা লেখা হয়েছিল। দিনশেষে আমিও একজন মানুষ। সবার মতো আমারও কমবেশি কাছের-দূরের মানুষ রয়েছে।’ পূর্ণিমা লেখেন, ‘এ কারণে আমাকেও সুসময়ের বন্ধু ও স্বার্থপরদের ফেইস করতে হয়েছে। কিন্তু লেখাটির কিছু অংশ আগে পিছে না বুঝে অনেকে আমার পারিবারিক জীবনের সাথে মিলিয়ে ফেলেছে! সেখান থেকে কিছু সংবাদমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে সত্যতা নিশ্চিত না করে অনেকটা চটকদার শিরোনাম দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে; যা আমাকে ও আমার পরিবার কে বিষ্মিত ও মর্মাহত করেছে।’
২৫ অক্টোবর, ২০২৫
বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে দেখতে দেখতে প্রায় তিন দশক পার করে দিলেন অভিনেতা ববি দেওল। বাবার (ধর্মেন্দ্র) হাত ধরে প্রবেশ প্রথম দিকে সফলতা তারপর দীর্ঘ বিরতি অভিনেতার জীবন যেন এক রোলার-কোস্টারের যাত্রা। ববি দেওলের অভিনয় জীবনে স্মরণীয় কাজ কম নেই। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে 'অ্যানিম্যাল'-এ তার 'আবরার' চরিত্রটি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছে। আরিয়ান খান পরিচালিত 'ব্যাডস অফ বলিউড'-এ তার উপস্থিতি নিয়েও দর্শকের মাঝে তৈরি হয়েছে নতুন করে আগ্রহ। অভিনেতাদের জীবনে উত্থান-পতন খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়। একটা সময় ছিল যখন ববির হাতে কার্যত কোনো কাজ ছিল না। প্রযোজক-পরিচালকেরা তাকে দেখে মুখ ফিরিয়ে নিতেন। ভারতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই কঠিন সময়ের কথা অকপটে তুলে ধরেন ববি দেওল। তিনি জানান, কাজ পাওয়ার জন্য তাকে রীতিমতো অনুরোধ করতে হতো। অভিনেতার কথায়, ‘আমি পরিচালক-প্রযোজকদের অনুরোধ করতাম কাজ দেওয়ার জন্য। তাদের অফিসে যেতাম। কাজ না দিক, অন্তত যেন তারা আমায় মনে তো রাখে!’ তবে ববি বলেন, ‘তবে হাল ছেড়ে দিইনি কখনো। আমার মনে হয়েছিল আমি উঠে দাঁড়াতে পারব। কেউ যেন আমাকে ভিতর থেকে শক্তি জুগিয়েছিল। তাই আমি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি।’
২৩ অক্টোবর, ২০২৫
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে গত দেড় বছর ধরে বিনোদন জগতে ছিল নানা জল্পনা-কল্পনা। স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে তার সম্পর্ক কেমন চলছে, তা নিয়ে ভক্তদের কৌতূহলের শেষ ছিল না। বছর দেড়েক আগে মাহি নিজেই সামাজিক মাধ্যমে বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। সেই ঘোষণার পর জনসমক্ষে আর দেখা যায়নি এই তারকা দম্পতিকে। তবে সম্প্রতি সব গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়েছেন এই আলোচিত তারকা। অনেকটা নাটকীয়ভাবেই তিনি ভক্তদের সুখবর দিলেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্ট দিয়ে সেই রাকিবকে আবারও বিয়ে করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫
২০১৬ সালে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ফেসবুকে যাত্রা শুরু করে অল্প সময়েই নেটিজেনদের মাঝে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন রিপন মিয়া। তবে সম্প্রতি পরিবার ও ভরণপোষণ সংক্রান্ত একটি গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তীব্র বিতর্কের মুখে পড়েছেন এই ইউটিউবার ও ফেসবুক তারকা। তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। তবে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন রিপন মিয়া। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, পুরো বিষয়টি আসলে একটি ভুল বোঝাবুঝি। তিনি বুঝতে পারছেন না, কোথা থেকে কীভাবে বিতর্কের শুরু হয়েছে। রিপন মিয়া বলেন, ‘মূলত কোথা থেকে কী হয়েছে আমি বুঝি নি বিষয়টা। আগে মনে হয় আব্বা-আম্মার কাছে গেছে, তারপর আমাদের বাড়িতে গেছে। আমি বাড়িতে ছিলাম না, আমি বাজারে ছিলাম। এরপর সাংবাদিক এসে বলছে, আপনার নামে বিচার আছে।’ নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা কম হওয়ায় তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে স্বচ্ছন্দ নন বলেও জানান। তিনি বলেন, ‘আমার তো এমনি লেখাপড়া নেই। আমি ইন্টারভিউ দিই না কোনো জায়গায়। কার সাথে কীভাবে কথা বলতে হয়, এটা আমি বলতে পারিনা দেখেই মূলত আমি ইন্টারভিউ দিই না।’ মা-বাবার ভরণপোষণের বিষয়ে বলেন, ‘গ্রামের মানুষ কিন্তু সহজ-সরল। একজন কানপড়া দিলে আরেকজন সহ্য করতে পারেনা। দশজনে দশ কথা বললে একটা মানুষের মন এমনি নষ্ট হয়ে যায়। আবেগের কারণে আম্মা এগুলো বলেছে।’ রিপনের কথায়, ‘ঘরে বানাচ্ছি, ঘরে তো আমি আর একা থাকবো না, আব্বা-আম্মাকে নিয়েই থাকবো। আমরা এখন ভাঙা ঘরে থাকছি আব্বা-আম্মা যেখানে থাকে। যেখানে বাড়ির কাজ হচ্ছে, ওখানে যাওয়া লাগে। নাহলে তো মিস্ত্রি ঠিকমতো কাজ করে না।
১৬ অক্টোবর, ২০২৫
দেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলা নিষ্পত্তির আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মামলার শুনানি শেষে ২০ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক রায়ের দিন নির্ধারণ করেন। রিভিশনকারী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ওবায়দুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। এ ঘটনায় প্রথমে অপমৃত্যুর মামলা করেন তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরের বছর ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যার অভিযোগে আবার মামলা করেন তিনি। তখন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত অপমৃত্যু ও হত্যার মামলার একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ বলে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। ওই বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়। তবে প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ বলা হয়। কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে হত্যা মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি সিএমএম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে। ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। এরপর ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করে বাদীপক্ষ। রিভিশন মামলায় বলা হয়, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু বারবার তদন্তে তার মৃত্যুকে অপমৃত্যু মামলা হিসেবে বলা হচ্ছে।
১৪ অক্টোবর, ২০২৫
ওপার বাংলার জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিত মুখার্জি ও অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। এই দম্পতির ব্যক্তিগত জীবন বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ক্যারিয়ার থেকে শুরু করে দাম্পত্য, প্রায় সব কিছু নিয়েই তাদের আলোচনা দুই বাংলার বিনোদন পাড়ায়। তবে সম্প্রতি তাদের সম্পর্ক নিয়ে ভাঙনের গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে, যার মূলে রয়েছে অভিনেত্রী মিথিলার সাম্প্রতিক একটি মন্তব্য। মিথিলার এই মন্তব্যের পরই প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি সৃজিত-মিথিলার সুখের সংসারে চিড় ধরেছে? এদিকে, সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে ওপার বাংলার অভিনেত্রী সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে টলিপাড়ায় বেশ চর্চা চলছে। এই জল্পনার মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভ সপ্তমীর দিন সুস্মিতার সঙ্গে একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন সৃজিত। শেয়ার করা ছবিগুলোতে দেখা যায়, পূজা মণ্ডপে হাসিমুখে ধরা দিয়েছেন এই জুটি। ম্যাচিং পাঞ্জাবি ও শাড়িতে দুজনকে বেশ মানিয়েছে। যদিও এই ছবিগুলো নিছকই বন্ধুত্ব বা পেশাগত কিনা, সেই বিষয়ে কোনো স্পষ্ট বার্তা নেই, তবে এই মুহূর্তে এই ছবিগুলো নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই খোলাখুলি কথা বলতে পছন্দ করেন মিথিলা। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে এসে তিনি নিজের দাম্পত্য জীবন নিয়ে এমন কিছু মন্তব্য করেছেন, যা গুঞ্জনের পালে জোর বাতাস দিয়েছে। মিথিলা বলেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত আমি (কলকাতা) যাইনি। আমার ভিসা নেই। তার এই মন্তব্যের পরই অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন, সৃজিতের সঙ্গে তার সম্পর্ক কি সত্যিই তলানিতে পৌঁছেছে? এই মন্তব্যে তাদের মধ্যকার দূরত্বের ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট হয়েছে বলে মনে করছেন নেটিজেনরা। পডকাস্টের সঞ্চালক সরাসরি জানতে চেয়েছিলেন, সৃজিত মুখার্জি এখনও তার স্বামী রয়েছেন কিনা। এই প্রশ্নে কিছুটা রহস্য তৈরি করে মিথিলা বলেন, ‘এটা তো যারা বলছে তারা বলছে, আমি কিছুই বলবো না।’ তবে সৃজিত এখনও তার হাজবেন্ড এমন প্রশ্নের জবাবে মিথিলা জানান, হ্যাঁ, পাসপোর্টে তার নামটিও রয়েছে। অভিনেত্রীর এমন কৌশলী উত্তর দুই বিনোদন পাড়ায় এখন তুমুল চর্চার বিষয়। সৃজিত ও মিথিলার দাম্পত্য জীবনের ভবিষ্যৎ কোন দিকে মোড় নেয়, এখন সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন তাদের ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
৮ অক্টোবর, ২০২৫