logo
পরিষদে প্রশাসনিক কর্মকর্তার অনিয়মের ফিরিস্তি টাঙিয়ে দিলেন এলাকাবাসী

পরিষদে প্রশাসনিক কর্মকর্তার অনিয়মের ফিরিস্তি টাঙিয়ে দিলেন এলাকাবাসী

noakhalihatiyalocal

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদে কর্মকর্তার অনিয়মের ফিরিস্তি টাঙিয়ে দিলেন এলাকাবাসী। এতে তিনি কোন কোন খাতে ঘুষ গ্রহণ করেন তা পরিমাণসহ উল্লেখ করা হয়। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে হরণী ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, ঘুষ গ্রহণ এবং পরিষদকেন্দ্রিক জনদুর্ভোগ সৃষ্টির অভিযোগ তুলে তাকে অপসারণের দাবিতে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা মানববন্ধনে অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হরণী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান দোলন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উত্তর শাখার সভাপতি মো. আবুযর গিফারী সুমন, হরণী ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি তারিকুল মাওলা, জাতীয় নাগরিক পার্টির সহসভাপতি গিয়াস উদ্দিন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ইউনিয়ন সভাপতি ইলিয়াস গাজী, বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল এহসান জুয়েল, কৃষকদল হাতিয়া উত্তর শাখার সভাপতি হুমায়ুন কবির, যুব আন্দোলনের সভাপতি আসাদুল্লাহ গালিব, ছাত্রদলের সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতিনিধি মো. রাসেল মাহমুদ। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই সরকারি বিভিন্ন সেবা- ভিজিডি কার্ড, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা, জেলে চাল, ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম নিবন্ধনসহ প্রায় সব ধরনের সুবিধার বিনিময়ে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে নিয়মিত টাকা আদায় করছেন। সদ্য চালু হওয়া অনলাইনভিত্তিক ভিজিডি রেজিস্ট্রেশনেও দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ তুলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ভুক্তভোগীরা জানান, সচিবের স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে ইউনিয়ন পরিষদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহুবার স্থানীয় প্রশাসন ও উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে দাবি করেন তারা। এসময় বক্তারা তিনটি দাবি তুলে ধরেন- সচিবের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের নিরপেক্ষ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত, ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে জরুরি প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ, দুর্নীতির অভিযোগে জড়িত সচিবকে দ্রুত অপসারণ করে দুর্নীতিমুক্ত পরিষদ পরিচালনা নিশ্চিত করা। মানববন্ধনে নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের প্রায় তিন শতাধিক স্থানীয় মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দিতে বাধ্য হবেন। হরণী ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের মতামত জানতে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এদিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানালেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (স্থানীয় সরকার) মুহাম্মদ ইসমাইল। তিনি বলেন, আমরা বিষয়গুলো জেনেছি। জেলা প্রশাসক স্যারের সঙ্গে এসব বিষয়ে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Yeamin Hossain

Yeamin Hossain

১৬ নভেম্বর, ২০২৫