
সর্বশেষ এশিয়া কাপ থেকে ব্যাট হাতে বাজে সময় যাচ্ছে জাকের আলি অনিকের। ক্যারিয়ারের শুরুতে যে আগ্রাসী জাকেরকে দেখা গিয়েছিল, এখন ব্যাটে-বলেই হচ্ছে না তার। একইভাবে অফসাইডের বল টেনে লেগে খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিচ্ছেন। মাঝে একাদশ থেকেও বাদ পড়েছিলেন জাকের। এরপর দলে ফিরে সেই পুরোনো চিত্র। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাসের বিশ্বাস– জাকের শিগগিরই ছন্দে ফিরবেন। গতকাল (শুক্রবার) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে হেরে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচেও জাকের ৩ বলে ৫ রান করে আউট হয়ে যান। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে সর্বশেষ ১০ ম্যাচে কেবল একবার ৩০ পেরিয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ৫ ম্যাচে আউট হয়েছেন এক অঙ্কের ঘরে। জাকেরের অফফর্ম নিয়ে ম্যাচ শেষে লিটন বলেন, ‘কামব্যাকের একটাই অপশন– সাহস রাখা, খুব একটা চিন্তিত না হওয়া। চিন্তিত হলে নেতিবাচক চিন্তাই বেশি আসবে। যদি ইতিবাচক চিন্তা আসে তার জন্য খুবই ভালো।’ সতীর্থকে ফর্মে ফেরার পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘সবসময় বলব– নিজেকে ব্যাক করা, সময় দেওয়া এবং যে মানুষগুলো হেল্প করে সবসময় তাদের সঙ্গে ওঠাবসা করা। আমার মনে হয় সে শিগগিরই কামব্যাক করবে, ভালোভাবেই কামব্যাক করবে।’ দলের বাকিদের ওপরও আস্থা রাখছেন লিটন, ‘যে প্লেয়াররা দলে খেলেছে, সবাই পরীক্ষিত। এমন ২-১টা সিরিজ যেতেই পারে। একটা খেলোয়াড়ের ৫-৬টা ম্যাচ খারাপ যেতেই পারে। এর মানে সে খারাপ খেলোয়াড় না।’ ‘সবাই জানে তার কোথায় উন্নতি করতে হবে। বারবার খেলোয়াড় পরিবর্তন করলেও একই থাকবে ফলাফল। নতুন খেলোয়াড় খুব ভালো ফিডব্যাক না দিলে একই জায়গায় আটকে থাকবে। যারা অনেকদিন ধরে খেলছে তাদের নিয়ে আরেকটু এগোলে ফলাফল ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি’, আরও যোগ করেন লিটন। দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের লেগ সাইডে খেলার প্রবণতা নিয়ে লিটন বলেন, ‘আপনার স্কিল যত উন্নতি হবে ততই ভালো। কখন কাজে লাগাবেন সেটা আপনার ওপর। কারও স্কিল যদি অনেক বেশি থাকে খারাপ হওয়ার তো কিছু নেই। অবশ্যই ব্যাটারদের স্কিল বাড়াতে হবে, সব ধরনের শট খেলতে হবে। হাতেগোনা ক’জন ব্যাটার সুইপ-রিভার্স সুইপ খেলি। বিশ্ব ক্রিকেট এখন অনেক এগিয়ে গেছে। এমন উইকেটে ব্যাটাররা সুইপ–রিভার্স সুইপ খেলে। এখানে আমরা পিছিয়ে আছি। এই জিনিসগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। আপনি যতটা পারেন স্কিল বাড়াবেন। তার বাস্তবায়ন নির্ভর করবে গেমের ওপর।’