
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে অননুমোদিতভাবে বালু ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে নদীতীর ভাঙন ও সড়কের ক্ষতি করার অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবাইয়া বিনতে কাশেমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদন ছাড়াই বালু উত্তোলন ও বেচাকেনার মাধ্যমে পরিবেশ ও যোগাযোগ অবকাঠামোর ক্ষতি করা হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তৎপরতা চালানো হয়। অভিযানকালে বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত শাহ আলম (৩২) ও দিদার (২৭) নামের দুইজনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০’ অনুযায়ী তাদের প্রত্যেককে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সহযোগিতা করেন। স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা প্রশাসনের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। মিজান চৌধুরী নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, অবৈধ বালু ব্যবসা বন্ধে প্রশাসনের এমন উদ্যোগে আমরা আশাবাদী। এতে নদী ও গ্রামের রাস্তা রক্ষা পাবে। প্রশাসনের কঠোর নজরদারির কারণে এলাকায় অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের সতর্কতা দেখা দিয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া বিনতে কাশেম অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নদী ও সড়ক রক্ষায় আমরা কোনো ধরনের অবৈধ বালু ব্যবসা সহ্য করবো না। পরিবেশ ও জনগণের স্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।